Conflict Management
Conflict Management অর্থাৎ দ্বন্ধ নিরসন দ্বন্ধেরই একটি অংশ। সম্পর্ক থাকলেই দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। আর দ্বন্ধকে সমস্যার পর্যায়ে নি নিয়ে বরং সেটাকে আলোচনার পর্যায়ে নিয়ে নিরসনের চেষ্টা করা উচিত। কেননা দ্বন্ধ ধ্বংসাত্মক এবং দীর্ঘ দিনের সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়। তাই দ্বন্ধকে নিরসন করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে সবাইকে মনোযোগী হতে হবে। দ্বন্ধ নিরসনের উপায়গুলো অবলম্বন করে আমরা দ্বন্ধের পরিসমাপ্তি করতে পারি, যা সম্পর্ককে করবে আরও গভীর।
Conflict Management কে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
- Effective or Productive (কার্যকর অথবা ফলপ্রসূ)
- Ineffective or Unproductive (অকার্যকর অথবা অফলদায়ক)
আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বন্ধ নিরসন করতে গিয়ে দ্বন্ধ নিরসন প্রক্রিয়ার ফলাফল যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে সেই Conflict Management হবে Effective or Productive। অন্যদিকে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বন্ধ নিরসন করতে গিয়ে যদি দ্বন্ধ নিরসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু কোন সমাধান না দিয়ে বরং দ্বন্ধ আরো বাড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ দ্বন্ধ নিরসস প্রক্রিয়ার ফলাফল যদি নেতিবাচক হয়, তবে সেই Conflict Management হবে Ineffective or Unproductive।
বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য কি কি? |
দ্বন্ধ নিরসনের উপায়
দ্বন্ধ নিরসনের জন্য আমরা ২টি উপায় বা পন্থা অবলম্বন করতে পারি। যথা-
১) প্রচলিত, ও ২) অপ্রচলিত
নিম্নে দ্বন্ধ নিরসনের প্রচলিত ও অপ্রচলিত পন্থগুলো আলোচনা করা হলো-
1. Avoidance and Fighting Actively (এড়িয়ে যাওয়া ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ)
Avoidance বলতে এড়িয়ে যাওয়াকে বুঝানো হয়েছে। এই এড়িয়ে যাওয়া দ্বন্ধ নিরসনের প্রচলিত পন্থা। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দ্বন্ধ নিরসনের উপায় হিসেবে এড়িয়ে যাওয়া বেশি করে থাকি। কারণ, কারো সাথে দ্বন্ধ হলেই দ্বন্ধের বিষয় এড়িয়ে গেলে আমরা মনে করে থাকি দ্বন্ধ নিরসন হয়ে যাবে। এটি আমাদের অর্থাৎ মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা।
এই Avoidance বা এড়িয়ে যাওয়া কয়েকভাবে হতে পারে। যথা-
a) Non-negotiation বা কথা বন্ধ করে দেওয়া,
b) Physical flight বা পলায়ন,
c) Redefinition বা প্রসঙ্গ পরিবর্তন
a) Non-negotiation বা কথা বন্ধ করে দেওয়া
এখানে Non-negotiation বলতে কথা বন্ধ করে দেওয়া অর্থাৎ আলাপ-আলোচনা না করার কথা বুঝানো হয়েছে। আমরা কোন দ্বন্ধ নিরসন করতে চাইলে হয়তো সে দ্বন্ধের বিষয় নিয়ে একদম কথা বলিনা। অথবা দ্বন্ধের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা অনেক বেশি জোর দিয়ে বলে থাকি, যাতে অন্যজন কিছু বলার সুযোগ না পায়। একে Stream rolling বলা হয়ে থাকে।
b) Physical flight বা কেটে পড়া
আমাদের সাথে কারো দ্বন্ধ হলে আমরা সেখান থেকে কেটে পড়ে দ্বন্ধ নিরসনের চেষ্টা করে থাকি।
c) Redefinition বা প্রসঙ্গ পরিবর্তন
এখানে Redefinition বলতে প্রসঙ্গ পরিবর্তন করার কথা বুঝানো হয়েছে। অনেক সময় আমরা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে দ্বন্ধকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। যেমন- কাউকে কিছু বলার সাথে সাথে সে যদি রেগে যায় অর্থাৎ যদি তা নিয়ে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা সেটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে থাকি।
Active Fighting বা সক্রিয় অংশগ্রহণ
এখানে fighting বলতে ইস্যু বা দ্বন্ধের বিষয়টাকে হাইলাইট করা বা দ্বন্দের বিষয়টাকে সামনে এনে বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। এটি দ্বন্ধ নিরসনের অপ্রচলিত উপায়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা এই অপ্রচলিত উপায় কম ব্যবহার করে থাকি। আমরা এ উপায়ে দ্বন্ধ নিরসনের জন্য কিছু মাত্রায় মৌখিক আক্রমণ করতে পারি। তবে মনে রাখতে হবে যাতে এ আক্রমণ সহ্যের সীমা অতিক্রম না করে। নিজের বক্তব্য, অনুভূমি যেমন প্রকাশ করতে হবে, তেমনি অন্যের বক্তব্য, অনুভূতিও মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। এছাড়া নিজের যেকোন মন্তব্য বা কাজের দায়দায়িত্ব স্বীকার করার মাধ্যমেও দ্বন্ধ নিরসন করা যায়।
২. Force and Discuss বা চাপ সৃষ্টি ও আলোচনা করা
Force
যখন দ্বন্ধের সৃষ্টি হয় তখন অনেকে দ্বন্ধের ইস্যুগুলোকে ডিল না কর বরং চাপ প্রয়োগের দ্বারা নিজস্ব সিদ্ধান্ত অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়াকে শ্রেয় মনে করে। আর এই জোর খাটিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখে দ্বন্ধ নিরসনের প্রক্রিয়াই হলো Force। এটি দ্বন্ধ নিরসনের প্রচলিত উপায়। এই পন্থা আমরা দ্বন্ধ নিরসনের জন্য বেশি ব্যবহার করে থাকি। এ চাপ শারীরিক বা মানসিক দুটোই হতে পারে। দ্বন্ধ নিরসনের এই পন্থার ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে।
Discuss
দ্বন্ধ নিরসনে Force এর একমাত্র বিকল্প পন্থা হলো কথা বলার মাধ্যমে দ্বন্ধ নিরসন করা। অর্থাৎ চাপ প্রয়োগের পরিবর্তে প্রতিপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে দ্বন্ধ নিরসনের জন্য। এই পন্থা অপ্রচলিত। তবে এই পন্থা বেশ ভালো ও যৌক্তিক। এক্ষেত্রে খোলামন, সহানুভূতি, উদারতা নিয়ে কথা বলে দ্বন্ধ নিরসন করা যেতে পারে। এই পন্থায় কোন ঝুঁকি নেই। এটি দ্বন্ধ নিরসনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল দিতে পারে।