Home » কৌশলগত ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝ?

কৌশলগত ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝ?

by TRI

কোন একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে একটা সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কৌশলগত ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়। কৌশলগত ব্যবস্থাপনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। কৌশলগত ব্যবস্থাপনা বৃহদায়তন সংগঠনের জন্য যথাযথ কৌশল প্রণয়ন করে থাকে। 

যে সমস্ত সংগঠনে দীর্ঘমেয়াদী ও গবেষণামূলক কাজ করা হয়, সে সমস্ত সংগঠনের জন্য কৌশলগত ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কৌশলগত ব্যবস্থাপনা (Strategic Management)

কৌশলগত ব্যবস্থাপনা জানতে হলে আগে জানতে হবে কৌশল (Strategy) সম্পর্কে। 

কৌশল হচ্ছে কোন একটি কোম্পানীর লক্ষ্যকে সম্পূর্ণভাবে অর্জন করার জন্য ঐ কোম্পানী কর্তৃক গৃহীত একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত পরিকল্পনা।

গ্রিক শব্দ “Strategeia” হতে ইংরেজি ‘Strategy’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। যার বাংলা অর্থ হলো যুদ্ধে জেতার কৌশল।

ল্যাটিন শব্দ ‘Maneggiare’ হতে ইংরেজি ‘Management’ শব্দের উৎপত্তি। যার বাংলা অর্থ হলো কোন উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য মানুষের দ্বারা কাজ করিয়ে নেয়া। বৃহৎ অর্থ ব্যবস্থাপনা এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে মানুষকে কৌশলগতভাবে কাজে লাগিয়ে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জন করা হয়।

কৌশলগত-ব্যবস্থাপনা হচ্ছে ব্যবসায়িক সুযোগ এবং Challenges গুলোকে গ্রহণ করার একটি পন্থা। কার্যকর কৌশলগুলোকে তৈরি করা এবং বাস্তবায়ন করার জন্য এটি একটি সমন্বিত এবং চলমান ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া। এর লক্ষ্যই হচ্ছে ব্যবসায়িক কৌশলগুলোকে তৈরি করা এবং বাস্তবায়ন করা।

Read More:  What is Strategic Management? Importance & Challenges of Strategic Management

কৌশলগত ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা

কৌশলগত ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা বিশদরা বিভিন্নভাবে কৌশলগত ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা দিয়েছেন। নিচে কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো-

L.L. Byars, L.W. Rue & Shaker Zahra এর মতে, “কৌশলগত-ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ ব্যবস্থাপকগণ কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কার্যকরীভাবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ফলাফল বাস্তবায়ন করে এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলমান রাখে।”

Stoner বলেন, “কৌশলগত ব্যবস্থাপনা হলো সাংগঠনিক উদ্দেশ্য সংজ্ঞায়িতকরণ এবং তা অর্জনের একটি বড় ধরনের কর্মসূচি যা একটি সংগঠন ও তার পারস্পরিকতার সাথে সঙ্গতি বিধান করেই অর্জন করতে পারে।”

পিয়ার্স এবং রবিনস এর মতে, “কৌশলগত পরিকল্পনা এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সংগঠনের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।”

উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করলে করলে কৌশলগত ব্যবস্থাপনার নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যায়। যথা-

১। কৌশলগত ব্যবস্থাপনা হলো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

২। কৌশলগত উদ্দেশ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি বিশেষভাবে বিবেচনায় আনা হয়।

৩। কৌশলগত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব থাকে উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপকদের।

সুতরাং বলা যায়, বর্তমান তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ বৃহদায়তন কারবার জগতে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে প্রতিষ্ঠানে কীভাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা যায় বা বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগানো যায়, তার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ ও তা অর্জনের ব্যাপক কলা-কৌশল প্রণয়নকে কৌশলগত ব্যবস্থাপনা বলা হয়।

Related Posts