Home » বিশেষায়িত ব্যাংক কি? বিশেষায়িত ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য
বিশেষায়িত ব্যাংক কি, বিশেষায়িত ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য,

বিশেষায়িত ব্যাংক কি? বিশেষায়িত ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য

by TRI

বিশেষায়িত ব্যাংক কি?

যেসব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থনীতির বিশেষ কোনো খাতের উন্নয়নের জন্য ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদেরকে বিশেষায়িত ব্যাংক বা বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিশেষায়িত ঋণদান প্রতিষ্ঠান বলা হয়। এ ধরনের ব্যাংক স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণদান করে থাকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি ঋণদান করে বলে এদেরকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানও বলে। আবার বিশেষ খাতের উন্নয়নে অর্থায়ন করে বলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে উন্নয়ন অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন ব্যাংকও বলা হয় ।

আরও পড়ুন:   বাণিজ্যিক ব্যাংক কাকে বলে? কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য

বাংলাদেশে বিশেষায়িত ব্যাংক কয়টি?

বাংলাদেশে বিশেষায়িত ব্যাংক মূলত ৩ টি। দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে কয়েকটি বিশেষ খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের চাহিদা পূরণের জন্য সরকারি উদ্যোগে ও অর্থায়নে এই বিশেষায়িত ব্যাংক গুলো গঠন করা হয়। এগুলো হলো :

১। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক

২। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক

৩। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

বিশেষায়িত ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য

বাংলাদেশে বিশেষায়িত ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক উভয়ই ব্যাংক ব্যবসায়ে নিয়োজিত। তবে গঠন, উদ্দেশ্য ও কার্যাবলির মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা নিম্নরূপ :

বিষয় বিশেষায়িত ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক
১। মালিকানা এ ব্যাংক সরকারি উদ্যোগে ও মালিকানায় গঠিত ও পরিচালিত। এ ব্যাংক সরকারি ও বেসরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত।
২। গঠন এ ব্যাংক সরকারের আইনের মাধ্যমে গঠিত। এ ব্যাংক দেশের প্রচলিত আইনে যৌথ মূলধনী কারবার হিসেবে গঠিত।
৩। মূলধন এর মূলধনের যোগান দেয় সরকার ও দাতা সংস্থাসমূহ। এর মূলধনের যোগান দেয় আমানত, সঞ্চয় ও শেয়ার মালিকদের নিকট থেকে।
৪। উদ্দেশ্য এ ব্যাংকের উদ্দেশ্য বিশেষ বিশেষ খাতের উন্নয়ন করা। এ ব্যাংকের উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা।
৫। ঋণের মেয়াদ এ ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে কারবার করে। এ ব্যাংক সাধারণত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণের কারবার করে।
৬। সুদের হার এ ধরনের ব্যাংকের সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের ব্যাংক অধিক হারে ঋণের সুদ আদায় করে।
৭। বৈদেশিক শাখা এ ধরনের ব্যাংকের কোনো বৈদেশিক শাখা থাকে না। এ ধরনের ব্যাংকের বৈদেশিক শাখা থাকতে পারে।
৮। ঋণের ক্ষেত্র এ ধরনের ব্যাংক বিশেষ কোনো খাতের উন্নয়নে ঋনদান করে। এ ধরনের ব্যাংক সকল খাতেই ঋণদান করে।

অতএব বলা যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংক যেখানে কোন দীর্ঘমেয়াদি ঋণের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয় সেখানে বিশেষায়িত ব্যাংক ঋণের চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসে।

আরও পড়ুন:   মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের পার্থক্য কি কি?

 

Related Posts