Home » মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের পার্থক্য কি কি?
মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের পার্থক্য, মুদ্রা বাজার কি, মূলধন বাজার কি, মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে পার্থক্য;

মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের পার্থক্য কি কি?

by TRI

মুদ্রা বাজার কি?

যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে কারবার করে তাদের সমষ্টিকে অর্থবাজার বা মুদ্রা বাজার বলে। সাধারণত স্বল্পমেয়াদি (অনধিক ১ বছর) ঋণের বাজারকে মুদ্রা বাজার বলে। মুদ্রা বাজারের ঋণ আদান-প্রদানের জন্য বিনিময় বিল, প্রতিশ্রুতি পত্র, ট্রেজারি বিল, সঞ্চয়, সাটিফিকেট প্রভৃতি স্বল্পমেয়াদি ঋণপত্র ব্যবহৃত হয়।

  • অধ্যাপক ক্রাউথার বলেন, “যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রায় মুদ্রা নিয়ে লেনদেন করে তাদেরকে সমষ্টিগতভাবে মুদ্রা বাজার বলে। “
  • অর্থনীতিবিদ ডি. কার্যন-এর মতে, “অর্থবাজার এরূপ কতকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমষ্টি যার মধ্যবর্তী ভূমিকার ফলে উদ্বৃত্ত অর্থধারীদের সাথে যাদের অর্থের প্রয়োজন তাদের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।”

আরও পড়ুন:   আর্থিক নীতি কি? আর্থিক নীতির হাতিয়ার গুলো কী কী?

মূলধন বাজার কি?

যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে কারবার করে তাদের সমষ্টিকে পুঁজি বাজার/মূলধন বাজার বলে। পুঁজি বাজারে যৌথ মূলধনী কোম্পানি, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেশনসমূহ শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ছেড়ে মূলধন গ্রহ করে।

  • অধ্যাপক এস. এ. মিনাই বলেন, “পুঁজি বাজার দীর্ঘকালীন সম্পদ ও বন্ধকীপত্রের মতো মূলধন তহবিলের যোগান ও যোগান দাতাদের নিয়ে গঠিত হয়। “
  • অধ্যাপক জড়লী জি. লাকেট-এর মতে, “পুঁজি বাজার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের যে কোনো লেনদেনকে অন্তর্ভুক্ত করে।”

অতএব, যে অর্থের বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন ঋণ দেওয়া হয় তাকে পুঁজি বাজার বলে ।

মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে পার্থক্য

মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজার উভয়ই আর্থিক বাজার (Financial Market) তবে মেয়াদ, ঝুঁকির মাত্রা, তারল্য প্রভৃতি দিক দিয়ে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। নিচে পার্থক্যগুলো দেখানো হলো :

মুদ্রা বাজার পার্থক্যের বিষয় মূলধন বাজার
মুদ্রা বাজার হলে সেই আর্থিক বাজার যেখানে স্বল্পমেয়াদি তহবিলের জন্য যোগানদাতা ও সংগ্রহকারীর মধ্যে লেনদেন হয়। ১। ধারণা মূলধন বাজার হলো দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের বাজার যেখানে সিকিউরিটিসময়হ- যেমন: সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার, ঋণপত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রভৃতির লেনদেন হয়ে থাকে।
এখানে ব্যবহৃত আর্থিক হাতিয়ারসমূহের মেয়াদ স্বল্প (সর্বোচ্চ ১ বছর)। ২। মেয়াদ এখানে ব্যবহৃত সিকিউরিটিসমূহের মেয়াদ দীর্ঘ হয়ে থাকে।
এই বাজারের আওতা বা পরিধি সীমিত। ৩। পরিধি মূলধন বাজারের পরিধি বিস্তৃত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ বেশি। ৪। নিয়ন্ত্রণ স্টক একচেঞ্জ এবং সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিয়ন্ত্রণ বেশি।
মধ্যস্থকারীর অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম। ৫। মধ্যস্থকারী মধ্যস্থকারীর অংশগ্রহণ অনেকটা অপরিহার্য।
ঝুঁকির মাত্রা কম। ৬। ঝুঁকি সিকিউরিটিজ এর বাজার মূল্যের নিয়মিত হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকির মাত্রা বেশি।
এই বাজারের আর্থিক সম্পদের তারল্য বেশি। ৭। তারল্য মূলধন বাজারে যেসব সিকিউরিটির লেনদেন হয় তাদের তারল্য মুদ্রাবাজারের তুলনায় কম হয়ে থাকে।
মুদ্রাবাজার মুদ্রাস্ফীতির দ্বারা অধিক প্রভাবিত হয়ে থাকে। ৮। মুদ্রাস্ফীতি মূলধন বাজারে মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যক্ষ প্রভাব তুলনামূলক কম।

আরও পড়ুন:

রাজস্ব নীতি কি? রাজস্ব নীতির হাতিয়ার গুলো কি কি?

 

Related Posts