Home » প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপাত্তের পার্থক্য

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপাত্তের পার্থক্য

by TRI

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপাত্ত উভয়ই পরিসংখ্যানের উপাত্ত হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। নিম্নে সেগুলো দেখানো হলো-

পার্থক্যের বিষয় প্রাথমিক উপাত্ত মাধ্যমিক উপাত্ত
১। সংজ্ঞা যে তথ্য সরাসরি মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয় তাকে প্রাথমিক উপাত্ত বলে। কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়বার ব্যবহার করলে দ্বিতীয়বার ব্যবহারকারীর নিকট তা মাধ্যমিক উপাত্ত।
২। পদ্ধতি প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহ পদ্ধতি জটিল ও সময় সাপেক্ষ। মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহ তুলনামূলকভাবে সহজ ও কম সময় সম্ভব।
৩। উৎস সরাসরি কর্মক্ষেত্র এ উপাত্তের উৎস। অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে আছে।
৪। নির্ভরযোগ্যতা প্রাথমিক উপাত্ত বেশি নির্ভরযোগ্য। এটি অপেক্ষাকৃত কম নির্ভরযোগ্য।
৫। সংগ্রহের সময় প্রাথমিক তথ্য সব সময় সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।  এ তথ্য সব সময় সংগ্রহ করা যায়।

আরও পড়ুন:  প্রাথমিক তথ্য কি? সামাজিক গবেষণায় প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি আলোচনা কর

৬। ব্যবহারকারী সাধারণত বৃহৎ প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে পারে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের প্রতিষ্ঠান সাধারণত মাধ্যমিক তথ্য ব্যবহার করে।
৭। পর্যায় প্রাথমিক উপাত্ত/তথ্য প্রথম পর্যায়ের তথ্য। মাধ্যমিক তথ্য দুই বা ততোধিক পর্যায়ের তথ্য।
৮। দক্ষতা এ তথ্য সংগ্রহে দক্ষ কর্মী আবশ্যক। এ তথ্য সংগ্রহে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী না হলেও চলে।
৯। মূল একক প্রাথমিক রাশি তথ্য সমূহ মূল এককে সংগ্রহ করা হয়। এ তথ্য মূল এককে বা অন্য যে কোন এককে প্রকাশিত হতে পারে।
১০। ব্যবহার প্রাথমিক উপাত্ত মাধ্যমিক উপাত্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাধ্যমিক উপাত্ত প্রাথমিক উপাত্ত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না।

Related Posts