রোবস্পিয়ারের পতন ও সন্ত্রাসের শাসনের অবসানের পর ১৭৯৫ সালে ফ্রান্সে একটি নতুন সংবিধানের দ্বারা যে শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় তা ডাইরেক্টরি শাসন ব্যবস্থা নামে পরিচিত। সংবিধান অনুযায়ী উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ এ দুটি পরিষদের উপর আইন প্রণয়নের ক্ষমতা অর্পিত হয়। নিম্নকক্ষ আইনের প্রস্তাব পেশ করে আর এই প্রস্তাব বর্ষীয়ানদের পরিষদ বা উচ্চকক্ষের দ্বারা অনুমোদিত হলে তা আইন পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে সন্ত্রাসের রাজত্ব বর্ণনা কর
ডাইরেক্টরি শাসন
রোবস্পিয়ারের পতনের পর ১৭৯৫ সালে National Convention বা জাতীয় সম্মেলন একটি নতুন সংবিধান গ্রহণ করে। এ সংবিধান বলে যে নতুন সরকার গঠিত হয় তার নাম ছিল ডাইরেক্টরি বা পরিচালক সমিতির শাসন। এ নতুন সংবিধানে সরকারের কার্যনির্বাহক ক্ষমতা বা শাসন ক্ষমতা পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এক সমিতির হাতে দেওয়া হয়। নিম্ন পরিষদ ৫০ জন সদস্যের নামের একটি তালিকা উচ্চকক্ষে প্রেরণ করতো। উচ্চকক্ষের সদস্যগণ তন্মধ্যে পাঁচজন সদস্যকে ডাইরেক্টর হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন করতো। ডাইরেক্টরগণ ক্ষমতা বিভাজন তত্ত্ব অনুযায়ী কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা ভোগ করতো। তাদের কর্তব্য ছিল আইনসভা কর্তৃক পাসকৃত আইনগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করা।
ডাউরেক্টরি শাসন ১৭৯৫ সাল থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এ পরিচালক সমিতির প্রথম পাঁচ জন সদস্য ছিলেন যথাক্রমে পল ব্যারা, লুই লেপো, ফ্রাঁসোয়া রিউকেন, চার্লাস লেটরন্যু এবং ল্যাজারে কার্নো। এরা সকলেই ক্ষমতাধর, সুদক্ষ এবং ষোড়শ লুইয়ের মৃত্যুদণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। ডাইরেক্টরি দেশের সেনা ও নৌবাহিনী এবং পররাষ্ট্রনীতির দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিল।