স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান
একটি দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করার ক্ষেত্রে শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এককভাবে কাজ করা যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু জটিলতা এড়ানোর জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু প্রতিষ্ঠানকে সরকারি নীতি আদর্শের আওতায় এনে পরিচালিত করা হয়, যাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
অর্থাৎ, যেসব প্রতিষ্ঠান সরকারি আইনের নীতি ও আদর্শের আওতায় থেকে স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্র পরিচালনায় পরিচালিত হয় তাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বলে।
এসব প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানার পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় না। নিচে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হলো-
১. শিল্প খাতসমূহ: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পাটকল সংস্থা, বাংলাদেশ বনজ শিল্প সংস্থা।
২. কৃষি খাতসমূহ: বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন।
৩. খনিজ সম্পদ খাতসমূহ: বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
৪. পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতসমূহ: বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
৫. সেবা খাতসমূহ: বাংলাদেশ পর্যটন সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা, পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ইত্যাদি।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সুবিধা
নিচে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সুবিধা দেওয়া হলো-
১. স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ।
২. আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নেই।
৩. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
৪. কর্মী নির্বাচন যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়।
৫. সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় না।
৬. জনকল্যাণভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অসুবিধা
১. রাজনৈতিক দলের প্রভাব।
২. প্রাতিষ্ঠানিক নীতি ও আদর্শ বিচ্যুতি।
৩. অদক্ষ পরিচালক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া।
৪. ধীরগতিসম্পন্ন উন্নয়ন।
৫. অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ।
সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান কি? সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও |