ভূমিকম্পের আটটি কারণ
বৌদ্ধ ধর্মমতে, আটটি প্রধান কারণে ভূমিকম্প হয়। নিম্নে এগুলো আলোচনা করা হলো-
১ম কারণ: এ মহাপৃথিবী জলের উপরে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, এ জল বায়ুতে প্রতিষ্ঠিত, যখন মহাবায়ু প্রবাহিত হয়, তখন পৃথিবীকে ধারণকারী জল কম্পিত হয়। । জল কম্পিত হলে পৃথিবীও কম্পিত হয়।
২য় কারণ: যে কোন ঋদ্ধিমান সংযত চিত্ত শ্রমণ-ব্রাহ্মণ অথবা মহাশক্তিশালী মহানুভব দেবতার যদি পৃথিবী সংজ্ঞা সামান্য পরিমাণ এবং অপ (জল) সংজ্ঞা বলবৎভাবে ভাবিত হয়, তা হলে তিনি এ পৃথিবীকে ঋদ্ধি প্রভাবে কম্পিত করতে পারেন, সঞ্চালিত করতে পারেন এবং প্রবলভাবে আন্দোলিত করতে পারেন। তথাগতের জীবনের ছয়টি মহিমান্বিত কর্ম-মুহুর্তে পৃথিবী কম্পিত হয়।
৩য় কারণ: যে মুহুর্তে বোধিসত্ত্ব স্বর্গ হতে চ্যুত হয়ে স্মৃতি-সম্প্রযুক্ত জ্ঞানে মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন, তখন এই পৃথিবী পুণ্যতেজে কম্পিত হয়। এরকম হলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
৪র্থ কারণ: যে শুভক্ষণে অন্তিম জন্মধারী বোধিসত্ত্ব মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হন, তখন এই পৃথিবী পুণ্য তেজে কম্পিত-প্রকম্পিত হয়।
৫ম কারণ: যে মুহুর্তে তথাগত অনুত্তর সম্যক সম্বোধি লাভ করেন, তখন এই পৃথিবী জ্ঞান তেজে কম্পিত, প্রকম্পিত, সঞ্চালিত ও আন্দোলিত হয়।
৬ষ্ঠ কারণ: যে শুভক্ষণে তথাগত অনুত্তর ধর্মচক্র প্রবর্তন করেন, তখন পৃথিবী সাধুবাদ প্রদান করতে কম্পিত হয়।
৭ম কারণ: যখন তথাগত স্মৃতি সম্প্রযুক্ত জ্ঞানে স্বীয় আয়ু-সংস্কার বিসর্জন দেন, তখন পৃথিবী কারুণ্যে কম্পিত, প্রকম্পিত ও ভয়ানকরূপে আন্দোলিত হয়।
৮ম কারণ: যখন তথাগত অনুপাদিশেষ নির্বাণ ধাতুতে পরিনির্বাপিত হন, তখন এ মহাপৃথিবী রোদন করতে কম্পিত, প্রকম্পিত ও ভয়ানকরূপে আন্দোলিত হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চনীবরণ বলতে কি বুঝায়?