Home » চতুরার্য সত্য কী? এই সত্য দর্শনের মাধ্যমে আমাদের জীবন দর্শনের যে সত্যতা তা প্রতিবেদন কর

চতুরার্য সত্য কী? এই সত্য দর্শনের মাধ্যমে আমাদের জীবন দর্শনের যে সত্যতা তা প্রতিবেদন কর

by TRI

ভূমিকা

সুখ-দুঃখ নিয়ে মানুষের জীবন। কিন্তু জগতের সুখের চেয়ে দুঃখের মাত্রাই অধিক। সুখের অনুভূতি বিদ্যুতঝলকের মত ক্ষণস্থায়ী। চোখের পলকে তলিয়ে যায়। পরিণামে যে দুঃখ উৎপন্ন হয় তা বর্ণনাতীত। প্রতিনিয়ত দুঃখের দহনজ্বালায় দগ্ধ হতে হয়। মাতৃজঠরে জন্ম থেকে আমৃত্যু দুঃখভোগ করতে হয়। কামনা-বাসনার অপূর্ণতা নিয়ে মানুষ পরপারে যাত্রা করে। তাই জ্ঞানদৃষ্টি দিয়ে চতুরার্য সত্য-কে উপলব্ধি করতে হয়। চতুরার্য সত্যে যথার্থ জ্ঞান ছাড়া মানবের বিমুক্তি নেই। সেজন্য বুদ্ধ বলেছেন-

‘চতুসঙ্ক্ষো বিনিমুত্তো ধম্ম নাম নথি।’

অর্থাৎ চতুরার্য সত্য ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম নেই।

চতুরার্য সত্যের সংজ্ঞা

চতুরার্য সত্য অর্থ চারটি আর্য সত্য। আর্য অর্থ শ্রেষ্ঠ বা উন্নত। আর্যগণের জ্ঞানচক্ষে দৃষ্ট যে সত্য তার নাম আর্যসত্য। যিনি ক্ষমাশীল, শত্রুহীন ও নির্ভীক তিনিই আর্য। আর্যগণ বা জ্ঞানীগণ যে সত্য উপলব্ধি করে জীবনাচরণ করেন তাই হল চতুরার্য বা চারটি শ্রেষ্ঠ সত্য। এ পৃথিবীতে সবই অনিত্য-ক্ষণস্থায়ী। এ ক্ষণস্থায়ী জীবনের দুঃখ সাগরসম। তাই তথাগত বুদ্ধ দুঃখ থেকে মুক্তির লাভের জন্য চতুরার্য সত্য দেশনা করেছেন। চতুরার্য সত্য বৌদ্ধ ধর্মের মূলতত্ত্ব। নিম্নে বর্ণিত চারটি সত্যই চতুরার্য সত্য নামে অভিহিত।

১। দুঃখ আর্যসত্য,

২। দুঃখ সমুদয় আর্যসত্য,

৩। দুঃখ নিরোধ আর্যসত্য ও

৪। দুঃখ নিরোধগামিনী আর্যসত্য।

চতুরার্য সত্য দর্শনের জীবন দর্শন

জীবের জন্ম হলেই মৃত্যু অবধারিত। জন্ম-মৃতু দুটিই দুঃখের পর্যায়ভুক্ত। সত্ত্ব বা প্রাণীগণের মাতৃজঠরে উৎপত্তি, অবস্থান, আবির্ভাব কম কষ্টের নয়। গর্ভধারিণী মাতা কত কষ্টের মাধ্যমে একটি শিশু প্রসব করে। তাকে শৈশব ও কৈশোরে লালন-পালন ও শিক্ষা-দীক্ষা কষ্টদায়ক। তারপর জরা, ব্যাধি, মৃত্যুতে অসহনীয় দুঃখভোগ করতে হয়। বলতে গেলে, দুঃখ জনমে, দুঃখ শৈশবে, দুঃখ রোগ বার্ধক্যে, ঘোর দুঃখ মরণে। সুখ আশামাত্র। অতৃপ্ত কামনা-বাসনা নিয়েই মানুষের মৃত্যু হয়। জগতে যা কিছু আছে তা পরিবর্তনশীল ও অনিত্য। আমাদের দেহ-মনের ক্ষণিকত্ব বিচার করলে সংসার দুঃখময়।

আরও পড়ুন:   পুগগল কি? পুগগল পঞ্ঞত্তি গ্রন্থের আলোকে বিভিন্ন প্রকার পুগগলের বর্ণনা দাও

দুঃখ আর্যসত্য সংসার চক্রের আবর্তনে প্রাণীগণের পুনঃ পুনঃ জন্ম-মৃত্যু হয়। জন্ম-মৃত্যুতে দুঃখ উৎপন্ন হয়। জন্ম-মৃত্যুতে দুঃখ উৎপন্ন হয়। এটাই প্রথম আর্যসত্য। জন্ম দুঃখ, জরা দুঃখ, ব্যাধি দুঃখ, মরণ দুঃখ, অপ্রিয় সংযোগ দুঃখ, প্রিয় বিয়োগ দুঃখ, ঈদিত বস্তুর অপ্রাপ্তি দুঃখ। এগুলোর দুঃখের উৎপত্তি।

ক. জন্ম– জন্মগ্রহণ বলতে প্রাণীগণের নিজ নিজ মাতৃগর্ভে ধারণ, উৎপত্তি, আবির্ভাব বোঝায়। একটি প্রাণির মাতৃগর্ভে ধারণ, উৎপত্তি ও জন্ম অত্যন্ত কষ্টকর। তাই জন্মগ্রহণ দুঃখময়।

খ. জরা বা বার্ধক্য– প্রাণিদের নিজ নিজ দেহের জড়তা, জীর্ণতা, দস্তাদির পতন, চর্ম শিথিলতা, কেশরাশির পক্কতা, ইন্দ্রিয়সমূহের অক্ষমতা, আয়ুক্ষয় বোঝায়। বার্ধক্য জীবকে অচল করে দেয়। স্বাভাবিক গতিশীলতা থাকে না। এটাও দুঃখের অন্তর্গত।

গ. ব্যাধি– জীবের দেহ বিবিধ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। ক্ষুধা ও যন্ত্রণা প্রাণিদের নিত্য সহচর। এ ব্যাধি প্রাণীকে মরণতুল্য দুঃখ প্রদান করে।

ঘ. মরণ– মৃত্যু বলতে প্রাণিগণের দেহের অবসান, চ্যুতি, অন্তর্ধান, কালক্রিয়া বোঝায়। নিস্তেজ পরিণতিই এর লক্ষণ। মৃত্যুতে শোক, বিলাপ, অন্তর্দাহ, মানসিক দুশ্চিন্তা, আঘাত সৃষ্টি করে যা অত্যন্ত দুঃখকর।

ঙ. প্রিয় বিয়োগ– স্বামী, স্ত্রী, পুত্র-কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে বিচ্ছেদ ও তাদের মৃত্যুর কারণে প্রিয় বিয়োগ হয়। প্রিয়বস্তু হারানো যে কত দুঃখজনক তা বর্ণনাতীত।

চ. ঈপ্সিত বস্তুর অপ্রাপ্তি– মানুষের আশা শেষ নেই। এক আশার তৃপ্তিতে অপর আশা উৎপন্ন হয়। অথচ যা চায় তা পায় না। আশার নদী যেন চির প্রবহমান। অতৃপ্ত আশা সকলকে দুঃখ দিয়ে থাকে।

ছ. অপ্রিয় সংযোগ– নিজের অপছন্দ ব্যক্তির সাহচর্য, তাদের সাথে বসবাস, কাজ করা ইত্যাদি অপ্রিয় সংযোগ নামে কথিত।

জ. পঞ্চ উপাদান স্কন্ধ– উপাদান মানে উপকরণ, নির্মাণসামগ্রী এবং স্কন্ধ শব্দের অর্থ হল কাঁধ, অংশ, বিষয়। যে সমস্ত উপাদানে প্রাণিগণের সৃষ্টি তার নাম পঞ্চস্কন্ধ। রূপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার ও বিজ্ঞান- এ পাঁচটি উপাদানের সমন্বয়ে সত্ত্ব বা প্রাণী নামক পদার্থটি বিদ্যমান থাকে। অর্থাৎ ‘আমি’ বা ‘সে’ নামক সত্ত্বটির অস্তিত্ব ঘটে।

পৃথিবী, জল, বায়ু, অগ্নি সহযোগে রূপের সৃষ্টি হয়। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুর সংমিশ্রনে যে সুখ-দুঃখ অনুভূত হয় তার নাম বেদনা। অনুভূতি বা বেদনার পর যে ধারণা জন্মে তাকে সংজ্ঞা বলে। রূপ, বেদনা, সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের মনে যে রেখাপাত করে সেই সংস্কার, চেতনা বা মনকে বিজ্ঞান বলে। এ পাঁচটি উপাদান সমন্বয়ে সত্ত্ব বা প্রাণী উৎপন্ন হয়। সচল থাকে। দেহ-মন কাজ করে। আবার এ পাঁচটি বিলোপ সাধনে পঞ্চস্কন্ধের ধ্বংস হয়। সুতরাং পঞ্চস্কন্ধই দুঃখময়।

দুঃখ সমুদয় আর্যসতা

দুঃখ সমুদয় আর্যসতা বলতে দুঃখের কারণ বা হেতুকে বোঝায়। দুঃখের হেতু কি? তৃষ্ণা। আগুন জ্বলতে যেমন কাঠ, তেমনি জন্ম ও তজ্জনিত দুঃখের উপাদান হল তৃষ্ণা। তৃষ্ণা তিন প্রকার। যথা- কাম তৃষ্ণা, ভব তৃষ্ণা ও বিভব তৃষ্ণা।

ক. কাম তৃষ্ণা– ইন্দ্রিয়ের প্রিয়বস্তুই কাম। ঐ বিষয়ের প্রতি সম্পর্ক এবং ঐটার প্রতি মনোযোগই তৃষ্ণার জনক। বিষয়বাসনার প্রতি প্রলোভনই এর লক্ষণ। একে ভোগতৃষ্ণাও বলা হয়।

খ. ভব তৃষ্ণা– মিথ্যা ধারণার বশবর্তী হয়ে বিভ্রান্ত মন সারহীন, অনিত্য, অশাশ্বত জগতকে সার, নিত্য ও ধ্রুব বলে চালিত করে। এরূপ মিথ্যা ধারণাযুক্ত যে তৃষ্ণা ভবের অনুরাগ রূপান্তরিত হয় তার নাম ভবতৃষ্ণা।

গ. বিভব তৃষ্ণা– এ ভৌতিক দেহ ভস্মীভূত হলে আর কিছুই থাকেনা। নতুন জন্মও হয় না। মৃত্যুর পর সুখ-দুঃখ ভোগ করতে হয় না। এরূপ মিথ্যায় জীবনকে ভোগ করার যে ইচ্ছা তার নাম বিভব তৃষ্ণা। উচ্ছেদ দৃষ্টি সমন্বয়ে উৎপন্ন বাসনই বিভব তৃষ্ণা।

অবিদ্যার কারণে তৃষ্ণাহেতু মানুষ দুঃখ ভোগ করে। মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম নেয়। সর্বদুঃখ- জ্বালার জনক তৃষ্ণা। এটা দুর্গতির দিকে প্রাণীকে টেনে নিয়ে যায়। সর্বত্র মায়াজাল বিস্তার করে। সে মায়াজালে জীবগণ আবদ্ধ। তার প্রভাব দুরতিক্রম্য। অজ্ঞানী ব্যক্তিদের নিকট তার স্বভাব আচ্ছন্ন থাকে। তারা তার প্রকৃত স্বরূপ জানতে পারে না। প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা তৃষ্ণাকে যথার্থভাবে জনেন। তাঁরা তৃষ্ণাকে সর্বদুঃখের মূল হিসেবেই গ্রহণ করেন। ভাবী দুঃখের কারণ তৃষ্ণাকে ধ্বংস করে প্রকৃত সুখ অনুভব করেন। তাঁদের পুনর্জন্ম হয় না।

দুঃখ নিরোধ আর্যসত্য

দুঃখ নিরোধ, পরিত্যাগ ও বিনাশকে দুঃখ নিরোধ আর্যসত্য বলা হয়। প্রিয় বিষয় এবং এ বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে যখন অবিদ্যা সংজাত তৃষ্ণা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় তখনই তৃষ্ণার নিরোধ হয়। তৃষ্ণার নিরোধ হলে উপাদানের নিরোধ হয়। উপাদানের নিরোধে ভবের নিরোধ হয়, ভবের নিরোধে জরা, মরণ, শোক, রোদন, মানসিক দুশ্চিন্তা এবং সর্বপ্রকার অশান্তির উপশম হয়। এভাবে সমস্ত দুঃখরাশির নিরোধ হয়ে থাকে। এ দুঃখ নিরোধ বুদ্ধের ধর্ম-দর্শনের কেন্দ্র বিন্দু।

বৃক্ষের মূল দৃঢ় থাকলে যেমন আবার অঙ্কুরিত হয়, তেমনি তৃষ্ণার মূলোচ্ছেদ না হলে আবার দুঃখ প্রদান করে। তৃষ্ণার লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকলে অনুকূল উপাদানে তা বিপুল আকার ধারণ করে। জন্ম-জন্মান্তরে দুঃখ বৃদ্ধি পায়। তৃষ্ণাই জন্মান্তর রচনা করে। তাই সাধকেরা চতুর্থ আর্যসত্য বা আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুশীলনের মাধ্যমে তৃষ্ণা ধ্বংস করেন। বিদ্যার আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে দুঃখ নিরোধ বা নির্বাণ লাভ করেন।

দুঃখ নিরোধগামিনী আর্যসত্য

আর্য-অষ্টাঙ্গিক মার্গকেই দুঃখ নিরোধের উপায় বলা হয়। এর অপর নাম মজঝিম পটিপদা বা মধ্যপন্থা। কৃচ্ছ্রসাধন ও ভোগস্পৃহা- এ দুটির অন্তসাধন হয় বলে একে মধ্যপন্থা নামে অভিহিত করা হয়। এ মার্গকে আট ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা- সম্যক দৃষ্টি, সম্যক সংকল্প, সম্যক বাক্য, সম্যক কর্ম, সম্যক জীবিকা, সম্যক প্রচেষ্টা, সম্যক স্মৃতি ও সম্যক সমাধি। এ মার্গ দুঃখের বিনাশক ও প্রজ্ঞার বিকাশক। দুঃখ মুক্তি ও নির্বাণ লাভের একমাত্র পথ। দুঃখকে যথাযথ জেনে তা থেকে মুক্ত হওয়াই বুদ্ধের ধর্ম দর্শনের মূল লক্ষ্য এবং এ মার্গই বিমুক্তি লাভের উত্তম পন্থা।

১। সম্যক দৃষ্টি– কায়িক, বাচনিক ও মানসিক ভাল-মন্দ কর্মের যথার্থ জ্ঞানকে দৃষ্টি বলে। বিশেষ করে ত্রিলক্ষণাত্মক জগতের স্বরূপ- অনিত্য, দুঃখ ও অনাত্ম: চার আর্যসত্য, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ ও প্রতীত্য সমুৎপাদের যথার্থ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাই সম্যক দৃষ্টি।

২। সম্যক সংকল্প– রাগ, হিংসা, প্রতিহিংসাবিহীন সংকল্পকেই সম্যক সংকল্প বলে।

৩। সম্যক বাক্য– মিথ্যা ও লাগানো কথা, কটু কথা থেকে বিরত হয়ে সত্য, প্রিয়, শ্রুতিমধুর ও অর্থপূর্ণ বাক্যই সম্যক বাক্য।

৪। সম্যক কর্ম– অস্ত্র, প্রাণী, মাংস, নেশা ও বিষ বাণিজ্য- এ পঞ্চবিধ মিথ্যা জীবিকা পরিত্যাগ করে সৎ জীবিকা দ্বারা জীবন” নির্বাহ করাই সম্যক জীবিকা।

৫। সম্যক প্রচেষ্টা– উৎপন্ন পাপের বিনাশ, অনুৎপন্ন পাপের অনুৎপাদন, উৎপন্ন পুণ্যের সংরক্ষণ এবং অনুৎপন্ন পুণ্যের উৎপাদনই সম্যক প্রচেষ্টা।

৬। সম্যক স্মৃতি– দেহ, বেদনা, চিত্ত ও ধর্মসমূহের যথার্থ দর্শনই সম্যক স্মৃতি। এদের অপবিত্রতা ও ক্ষণভঙ্গুরতা সম্পর্কে গমনে, উপবেশনে, শয়নে, দাঁড়িয়ে স্মৃতি করলে মন সমাধিতে পর্যবসিত হয়।

৭। সম্যক ব্যায়াম– মনে দৃঢ়মূল কুচিন্তার বিনাশ সাধন, নতুনভাবে মনে কুচিন্তার উৎপত্তি নিবারণ, মনে সৎ চিন্তা আনয়ন এবং সৎ চিন্তাকে মনে সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টাকে সম্যক ব্যায়াম বলা হয়।

৮। সম্যক সমাধি– চিত্তের একাগ্রতাকে সমাধি বলে। সমাধি দ্বারা মনের অস্থিরতা দূরীভূত হয়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভে সমর্থ হয়।

উপসংহার

উপরোক্ত আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় চারি আর্যসত্যের মধ্যেই বুদ্ধের ধর্ম ও দর্শনের মূলকথা এবং মানব জীবনের দর্শন নিহিত আছে। মানবগণ তথা সত্ত্বগণ জন্ম-মৃত্যু চক্রাবর্তনে পুনঃপুনঃ দুঃখ পাবার কারণ এই চতুরার্য সত্যের জ্ঞান না থাকায়। এই চারি আর্যসত্যকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের চারি নিদানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। যেমন- রোগ, রোগের কারণ, রোগের উপশম ও রোগের উপশমের উপায়। মানবজীবনের জন্মজন্মান্তর ধরে দুঃখ হল রোগতুল্য, দুঃখের কারণ হল রোগের কারণ সদৃশ, দুঃখনিবৃত্তি হল রোগ উপশম তুল্য এবং দুঃখনিবৃত্তির উপায় হল রোগ উপশমের উপায়সদৃশ।

Related Posts

1 comment

অভিধর্ম কি বৌদ্ধ দর্শন? অভিধর্মের মূল তত্ত্বকথা তুলে ধর। December 9, 2023 - 10:22 am

[…] চতুরার্য সত্য কী? এই সত্য দর্শনের মাধ্… […]

Comments are closed.