প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু অন্তদর্শন কাকে বলে এবং মনোবিদ্যায় অন্তদর্শন পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা। মূল বিষয়বস্তুতে যাওয়ার আগে চলুন জেনে নিই মনোবিদ্যা কি বা কাকে বলে, আলোচ্য বিষয় এবং পদ্ধতি।
মনোবিদ্যা
মনোবিদ্যা হলো জীবের আচরণ সম্বন্ধীয় বিষয়নিষ্ঠ বিজ্ঞান যা জীবের আচরণের ভিত্তিতে মানসিক প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ ও শ্রেণীবিভাগ করে তাদের গতি-প্রকৃতি, নিয়ম, কারণ ও পরিণাম নির্ণয় ও ব্যাখ্যা করে এবং মানসিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত যে দেহগত প্রক্রিয়া সেইগুলি বর্ণনা করে। এটি বিজ্ঞানের একটি তাত্ত্বিক ও ফলিত শাখা যাতে মানসিক কর্ম প্রক্রিয়া ও আচরণসমূহ নিয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করা হয়। মনোবিদ্যার আলোচ্য বিষয়গুলো হলো-
১. মানসিক প্রক্রিয়া
২. বিজ্ঞান
৩. আচরণ
এই তিনটার মধ্যে মানসিক প্রক্রিয়া এবং আচরণ হলো মূল বিষয়।
মনোবিদ স্টাউট মনোবিদ্যার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন যে, মনোবিজ্ঞান হল এমন বিজ্ঞান যা মন নিয়ে বা যে-সব ঘটনা মনে ঘটে তাই নিয়ে আলোচনা করে।
মনোবিদ্যার পদ্ধতি
প্রতিটি বিজ্ঞানকেই তার বিষয়বস্তু আলোচনা করার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। বিজ্ঞানের কাজ বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সত্যকে আবিষ্কার করা। এই সত্য আবিষ্কারের জন্য বৈজ্ঞানিক নানাবিধ পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের সাহায্য নেন। বহু তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করেন, পরীক্ষা করেন। সত্যতা যাচাই করে তবে শেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মনোবিজ্ঞানও অন্য বিজ্ঞানের মতো বস্তু নির্ভর বিজ্ঞান। মনের বিভিন্ন ক্রিয়া প্রক্রিয়ার সূত্র আবিষ্কার করা এর কাজ। তাই মনোবিজ্ঞানীকেও মন জানার জন্যে বহু পরীক্ষা করতে হয়। বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু বর্হিজগতে বিদ্যমান। তাই সেগুলো নিয়ে বৈজ্ঞানিক সূত্র সহজেই পরীক্ষা করতে পারেন। বিজ্ঞানের পদ্ধতি হল নৈর্ব্যক্তিক। কিন্তু মনোবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় হলো মন। এ মনকে দেখা যায় না। মানুষের ব্যবহার দেখে এ মনকে বুঝে নিতে হয়। কিন্তু মনের আবার নিজস্ব অনুভূতিও আছে। নিজের মনের অবস্থা, গতি-প্রকৃতি সম্বন্ধে মানুষ সচেতন থাকে। মনোবিদগণ মনোবিদ্যার যেসব পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রধান তিনটি পদ্ধতি হল যথাক্রমে-
১. অন্তদর্শন বা ব্যক্তিনিষ্ঠ পদ্ধতি
২. পর্যবেক্ষণ বা বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতি এবং
৩. পরীক্ষণ পদ্ধতি।
অন্তদর্শন বা ব্যক্তিনিষ্ঠ পদ্ধতি
মানসিক প্রক্রিয়ার জ্ঞান লাভের জন্য ব্যক্তি যখন নিজের মানসিক অবস্থার ও প্রক্রিয়ার স্বরূপ, তার গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তখন তাকে বলা হয় অন্তদর্শন। অন্তদর্শনের সহায়তায় প্রত্যেক মানুষ নিজের মনে কি ঘটছে তা সোজাসুজি জানতে পারে। অন্তদর্শন হল অন্তঃপ্রত্যক্ষকরণ। কিন্তু যে কোন অন্তঃপ্রত্যক্ষকরণই অন্তদর্শন নয়। কোন ব্যক্তি যখন নিজের জীবনের সুখ-দুঃখের কথা চিন্তা করে, তখন তা অন্তঃপ্রত্যক্ষকরণ হলেও অন্তদর্শন নয়। আবার যখন কোন লোক সকাল বেলায় জল খাবারে কি কি খাবার খেয়েছিল, তা স্মরণ করতে গিয়ে সেই খাদ্যের একটা প্রতিরূপ বা প্রতিচ্ছবি মনের সামনে তুলে ধরবার চেষ্টা করে, তখনও মন অন্তর্মুখী, কিন্তু তা অন্তদর্শন নয়। মানসিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য যখন ব্যক্তি নিজের মনের সাহায্যে নিজের মনকে জানে তখনই তাকে অন্তদর্শন বলে।
আরও পড়ুন: ঝরোকা দর্শন কি?
মনোবিদ স্টাউট এর ভাষায় অন্তদর্শন হল নিজের অভিজ্ঞতার প্রতি মনোযোগী হওয়া। পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে যেমন আমরা বাইরের বস্তুকে প্রত্যক্ষ করি, ঠিক তেমনিভাবে অন্তদর্শনের ক্ষেত্রে মন অন্তরীন্দ্রিয়ের রূপ ধারণ করে নিজের কার্যকলাপ নিজেই প্রত্যক্ষ করে। কোন কারণে হয়ত আমি ক্রুদ্ব হয়েছি, আমি নিজে অন্তদর্শন সহায়তায় আমার ক্রোধের কারণ কি, কিভাবে ক্রোধ শুরু হলো, কিভাবে ধীরে ধীরে তা প্রবলতর হতে লাগলো এবং তারপর কিভাবে স্তিমিত হয়ে এলো, এই সবকিছুই পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। স্টাউটের ভাষায়, অন্তদর্শন হল সুস্পষ্ট আত্মচেতনার একটা বিশেষ অবস্থা।
অন্তদর্শন পদ্ধতি ব্যক্তিনিষ্ঠ পদ্ধতি, বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতি নয়। বাইরের জগতের বস্তুর সঙ্গে অন্তদর্শনের সম্পর্ক প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ। অন্তদর্শনের সহায়তায় ব্যক্তি কেবলমাত্র নিজের মানসিক প্রক্রিয়াই প্রত্যক্ষ করতে পারে। সেই কারণেও অন্তদর্শনকে ব্যক্তিনিষ্ঠ ক্রিয়া পদ্ধতি বলা হয়। অন্তদর্শনে ব্যক্তি বাইরের জগৎ থেকে মনকে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করে, একাগ্রচিত্তে মনোযোগের সঙ্গে নিজের মনের কার্যকলাপ লক্ষ্য করে। অন্তদর্শনকে সাক্ষাৎ পদ্ধতিও বলা হয়, যেহেতু অন্তদর্শনের সাহায্যে ব্যক্তি তার নিজের মন সম্পর্কে সাক্ষাৎ জ্ঞান লাভ করতে পারে। ব্যক্তির মনের মধ্যে যেসব অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা হয় অন্তদর্শনের সাহায্যে তা জানা যায়। আমার রাগ হয়েছে, রাগের সময় মনের মধ্যে যে অনুভূতি হচ্ছে তা একমাত্র আমিই বলতে পারি, নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে এই অনুভূতির খবর জানা যায়না। কারণ আমার মনোভাব শুধু আমিই জানি, অন্য কারো পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়।
অন্তদর্শনে মন একাধারে জ্ঞাতা এবং জ্ঞেয়, অর্থাৎ মন নিজেই জানতে চায় আবার জানার বিষয়ও সে নিজে। অন্তদর্শনের সাহায্যে মানুষ নিজেই নিজেকে পাঠ করে। অন্তদর্শনে মনকে একাগ্রভাবে নিবিষ্ট করে মন জানার চেষ্টা করতে হবে। তাই এর জন্য কোন ইন্দ্রিয়ের সাহায্যও দরকার হয়না। উপরন্তু জোর করে ইন্দ্রিয়ের কাজ বন্ধ করে নিজের মধ্যে মনকে নিবিষ্ট করলে তবে অন্তদর্শন হয়। মনোবিজ্ঞানে অন্তদর্শন মানে কষ্ট করে মনোনিবেশ নয়, নিজের ক্রিয়াকলাপের ব্যাখ্যা করারও প্রয়োজন হয়না। অন্তদর্শন মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব পদ্ধতি। অন্য কোন বিজ্ঞানে অন্তদর্শনের সাহায্য নেওয়া হয় না। কিন্তু মনকে জানা খুব কঠিন কাজ। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সর্বদাই আমরা নিজেকে জানার চেষ্টা করি। নিজেকে প্রকাশ করি। যখন বলি আমি ক্ষুধার্ত বা আমার মাথা ধরেছে, আমার দুঃখ হয়েছে, বা আনন্দ হয়েছে তখন প্রকৃতপক্ষে আমার মনের অনুভূতির কথাই বলি। কিন্তু এ অন্তদর্শন শিক্ষা দ্বারা মার্জিত নয়, এলোমেলো। [উৎস: মনোবিজ্ঞান-পুষ্প অধিকারী, পৃষ্ঠা নং-২২৯]
আরও পড়ুন: চার্বাক দর্শন কাকে বলে? চার্বাক দর্শনের জ্ঞানতত্ত্ব আলোচনা কর।
মনে কোন অবস্থার উদ্ভব হলেই তাকে অন্তদর্শন বলে না, কিন্তু ওই অবস্থা কি করে আসলো বা এর বৈশিষ্ট্য কী, অথবা এটি মনের মধ্যে কোন কোন পরিবর্তন সূচনা করলো ইত্যাদি বিষয় সুষ্ঠুভাবে চিন্তা করা যায়, তখন তাকে অন্তদর্শন বলে। [উৎস: নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, PG Education; পৃষ্ঠা নং-৯]
অন্তদর্শনের গুণ
(ক) অন্তদর্শন মনোবিদ্যার নিজস্ব পদ্ধতি। যদিও মনোবিদ্যাকে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের উপর নির্ভর করতে হয়, তবু মনের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে প্রত্যক্ষভাবে জানার এবং তাদের স্বরূপ ও গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করার একমাত্র উপায় হল অন্তদর্শন। বাহ্যপর্যবেক্ষণের সাহায্যে মানসিক ক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশকে জানা যায়, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট বহিঃপ্রকাশ যেকোন নির্দিষ্ট মানসিক ক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ তা জানার একমাত্র উপায় হল অন্তদর্শন।
(খ) নাইট্ এবং নাইট্ বলেন, “খুব বেশি অসুবিধা ছাড়াই আমরা আমাদের সংবেদনের এবং অন্যান্য সরল জ্ঞানমূলক প্রক্রিয়াগুলোর অন্তদর্শন করতে পারি।” অন্তদর্শনের সহায়তায় মানসিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে প্রত্যক্ষ, সুনিশ্চিত যথাযথ জ্ঞান পাওয়া সম্ভব। ব্যক্তি তার নিজের মানসিক অবস্থা ও ক্রিয়াকলাপকে প্রত্যক্ষভাবে এবং যতখানি সঠিকভাবে জানতে পারে, বাহ্য-পর্যবেক্ষণের আশ্রয় গ্রহণ করে অন্য ব্যক্তির পক্ষে তাকে ততখানি সঠিকভাবে জানা সম্ভব নাও হতে পারে এবং জানলেও তা জানতে হয় পরোক্ষভাবে।
In introspection we attend to the content of experience as such and as forming part of the life history of an individual mind. We are concerned with nature of experience itself and with the law of mental process.
[Stout: A manual of psychology; Page No-38]
(গ) যে কোন ব্যক্তি নিজের ইচ্ছানুযায়ী যে-কোন সময়ে ও যে-কোন স্থানে তার মানসিক প্রক্রিয়াগুলোকে অন্তদর্শনের সহায়তায় পর্যবেক্ষণ করতে পারে। অন্তদর্শনের জন্য দেশ, কাল ও বাহ্য অবস্থার উপর নির্ভর করতে হয়না। তাছাড়া, অন্তদর্শনে কোন যন্ত্রপাতি, পরীক্ষণাগার বা অর্থব্যয়ের প্রয়োজন হয়না।
(ঘ) যদিও এমনও মনে করা যায় যে, অন্তদর্শনের সহায়তায় পাওয়া মানসিক তথ্য সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য নয়, তবু বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবার জন্য এই গুলোকে আনুমানিক সিদ্ধান্ত বা প্রকল্প হিসেবে ব্যবহার করে মূল্যবান সিদ্ধান্ত লাভ করা যেতে পারে।
অন্তদর্শনের ত্রুটি এবং সেগুলো দূর করার উপায়
(ক) অন্তদর্শনের সহায়তায় আমরা যে মানসিক প্রক্রিয়াগুলো পর্যবেক্ষণ করি সেগুলো অস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট। বাইরের জগতের বস্তুকে যেমন সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করা চলে। মানসিক প্রক্রিয়াকে অনুরূপ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা চলে। মানসিক প্রক্রিয়াকে অনুরূপভাবে পর্যবেক্ষণ করা চলেনা। সব রকম অপ্রসাঙ্গিক বা অবান্তর বিষয়কে বর্জন করে যে বিশেষ মানসিক প্রক্রিয়াটিকে আমরা জনতে চাই, তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করাও অত্যন্ত কঠিন। সেই কারনে অন্তদর্শন পদ্ধতি হিসেবে সহজসাধ্য পদ্ধতি নয়। তবে উপযুক্ত অনুশীলনের সহায়তায় এই ত্রুটি দূর করা যেতে পারে। বাইরের বস্তু থেকে মনকে সরিয়ে নিয়ে অন্তর্মুখী করা কঠিন হলেও অভ্যাসের দ্বারা একে আয়ত্ত করা যেতে পারে।
(খ) অনেক সময় অন্তদর্শন করতে গেলে অন্তদর্শনের বিষয় অন্তর্হিত হয়ে যায়, ফলে অন্তদর্শন অসম্ভব হয়ে পড়ে। কোন কোন মানসিক প্রক্রিয়া যেমন, আবেগ অত্যন্ত চঞ্চল ও ক্ষণস্থায়ী। যখন আমরা কোন তীব্র আবেগের বশীভূত হই, যেমন ভয় বা ক্রোধ, তখন অন্তদর্শনের সহায়তায় তার পরীক্ষা এবং বিবরণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না। তীব্র নয়, এমন আবেগেরও প্রকৃতপক্ষে বিচার সম্ভব হয়না, কেন না এইরূপ মানসিক প্রক্রিয়ার অন্তদর্শন করতে গেলেই সেটি বিলীন হয়ে যায়। কোন ব্যক্তি ক্রুদ্ব হয়েছে, সে তার ক্রোধের অন্তদর্শন করতে চায়। কিন্তু ক্রোধের সময় ক্রোধের অন্তদর্শন সম্ভব নয়, আবার শান্ত মনোভাব নিয়ে ক্রোধের অন্তদর্শন করতে গেলে ক্রোধ অন্তর্হিত হয়, অন্তদর্শন বিষয়হীন হয়ে পড়ে।
(গ) অন্তদর্শনের সহায়তায় একই মানসিক প্রক্রিয়াকে জানা সম্ভব নয়। যেহেতু মানসিক প্রক্রিয়া ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সেহেতু দু’জন মনোবিদ একই মানসিক প্রক্রিয়াকে পর্যবেক্ষণ করতে কখনই সক্ষম হবেন না। ধরা যাক, দু’জন মনোবিদ “ভয়”- এই মানসিক প্রক্রিয়াটিকে জানতে চান কিন্তু উভয়ের ক্ষেত্রে এই মানসিক আবেগ ভিন্ন এবং একই আবেগকে জানা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
নাইট্ এবং নাইট্ বলেন, “ অন্তদর্শনের উপাত্তের একটা অসুবিধা হল যে, তারা পর্যবেক্ষকের নিজস্ব বা ব্যক্তিগত বিষয় হওয়াতে নিজেদের সংবেদন বা প্রতিরূপ ছাড়া অন্য কোন সংবেদন বা প্রতিরূপ আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারিনা। এটি অন্তদর্শনের স্বভাবগত ত্রুটি। সম্পূর্ণভাবে এর থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়, অবশ্য একাধিক বিশেযজ্ঞ মনোবিদের সমবেত সহযোগিতায় এই ত্রুটি অনেকাংশে দূর করা সম্ভব হতে পারে।