বিহিত মুদ্রা
যেসব মুদ্রার গ্রহণযোগ্যতা দেশের আইন দ্বারা স্বীকৃত এবং সমাজের সব ব্যক্তি যে অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে, তাকে বিহিত মুদ্রা বলে।
উদাহরণস্বরূপ- বাংলাদেশে ব্যবহৃত ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের কাগজি নোট এবং ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকা মূল্যমানের কাগজি নোট ও কয়েন বিহিত মুদ্রা। কারণ, কোনো ব্যক্তি তা গ্রহণ বা প্রদান করতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
আরও পড়ুন: মুদ্রা কি? মুদ্রা কত প্রকার ও কি কি?
বিহিত মুদ্রার প্রকারভেদ
বিহিত মুদ্রা প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
ক) অসীম বিহিত মুদ্রা
যেকোনো পরিমাণ লেনদেন যে মুদ্রার মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়, তা-ই সীমাহীন বা অসীম বিহিত মুদ্রা। এটির ব্যবহারই বর্তমানে সর্বত্র লক্ষ করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবহৃত ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের মুদ্রা অসীম বিহিত মুদ্রা।
খ) সসীম বিহিত মুদ্রা
লেনদেনের ক্ষেত্রে যে মুদ্রা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের অধিক কোনো ব্যক্তিকে গ্রহণে আইনগত বাধ্য করা যায় না, তা-ই সসীম বিহিত মুদ্রা। বর্তমানে ১ পয়সা, ২ পয়সা, ৫ পয়সা, ৫০ পয়সা ইত্যাদি সসীম বিহিত মুদ্রা। এর প্রচলন তেমন একটা লক্ষ্যণীয় নয়।