অনুপার্জিত আয়
অর্থনীতিবিদ হেনরি জর্জ সর্বপ্রথম তার “Progressive and Poverty” নামক গ্রন্থে “অনুপার্জিত আয়” ধারণাটির অবতারণা করেন। ভূমির মালিক কোনো অতিরিক্ত ব্যয় বা শ্রম ব্যতীত যে অতিরিক্ত আয় লাভ করে তাকে অনুপার্জিত আয় বলে।
সাধারণত অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভূমির মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং খাজনাও বৃদ্ধি পায়। ভূমির মালিক অতিরিক্ত আয় ভোগ করে। এ অতিরিক্ত আয়কে অনুপার্জিত আয় বলে।
একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অভকাঠামোর উন্নয়ন ঘটলে অর্থাৎ রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানি, নালানর্দমা, শিল্প, কলকারখানা, ব্যাংক-বিমা, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে সে দেশের ভূমির মালিকের আয় বৃদ্ধি পায়। বিনা পরিশ্রমে অর্জিত ভূমির মালিকের এই আয়কেই অনুপার্জিত আয় বলে।
অধ্যাপক চ্যাপম্যানের মতে, “সামাজিক অগ্রগতির বিশেষ বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যসামগ্রীর যে মূল্য বৃদ্ধি পায় তাকে অনুপার্জিত আয় বলে।”
আরও পড়ুন: নিম খাজনা কি? খাজনা ও নিম খাজনার মধ্যে পার্থক্য
অনুপার্জিত আয় উদ্ভবের কারণ
অনুপার্জিত আয় উদ্ভবের প্রধান কারণ তিনটি। এগুলো হলো-
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি;
২. আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি; ও
৩. নগরায়ণ।