Home » মানসিক চাপ কমানোর উপায় – যেভাবে দূর করবেন মানসিক চাপ

মানসিক চাপ কমানোর উপায় – যেভাবে দূর করবেন মানসিক চাপ

by TRI

প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে কর্মীর মানসিক শক্তি বৃদ্ধি ও কর্মস্পৃহা বাড়ানোর লক্ষ্যে মানসিক চাপ কমানো একান্তভাবে অপরিহার্য। প্রতিষ্ঠানে কার্যপরিবেশের উন্নতি সাধন, কর্মীর কাজের সংগতিবিধান, দায়িত্ব সুস্পষ্টকরণ, কর্মীর কর্তৃত্বের মাত্রা ইত্যাদির উন্নয়ন সাধন এবং কর্মীর অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে কার্যসংক্রান্ত মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে। পারিবারিক কারণে সৃষ্ট মানসিক চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে কর্মীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করা আবশ্যক।

কার্যসংক্রান্ত মানসিক চা কমানোর লক্ষ্যে কতিপয় সুপারিশ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১. সহকর্মীদের সাথে কর্মীর পুরস্কৃতকরণ উপযোগী আনন্দদায়ক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে।

২. সাধ্যের অতিরিক্ত কার্য সাধন করার চেষ্টা করা উচিত নয়।

৩. উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বিশেষভাবে কার্যকর ও সমর্থনসূচক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠ করা আবশ্যক।

৪. উর্ধ্বতনদের সাথে আলোচনাক্রমে গুরুত্বপূর্ণ কার্যসম্পাদনে বাস্তবভিত্তিক সময়সীমা নির্ধারণ করা।

৫. আগত বিষয়সমূহের জন্য যত বেশি সম্ভব শিক্ষণ এবং নিজেকে তৈরি করা প্রয়োজন।

৬. প্রতিদিন অবসর ও আরাম-আয়েশের সময় বের করা।

৭. শরীরকে সতেজ ও সতর্ক রাখার লক্ষ্যে কর্মস্থলে একবার ঘুরে বেড়ানো আবশ্যক।

৮. অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও কোলাহল কমানোর পন্থা বের করা।

৯. কম প্রয়োজনীয় কাজের পরিমাণ কমানো আবশ্যক এবং নির্ধারিত কাজসমূহ সম্ভব হলে অন্যের নিকট হস্তান্তর করা যেতে পারে।

১০. কাজের মধ্যে যে কোন প্রকার বাধার সৃষ্টি অনুৎসাহিত করা উচিত।

১১. ঝামেলাপূর্ণ সমস্যাসমূহ ফেলে রাখা উচিত নয়।

১২. গঠনমূলক দুশ্চিন্তার তালিকা প্রণয়ন করে প্রত্যেকটির সমাধান অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক।

আরও পড়ুন:  মানসিক চাপের কারণ গুলো কি কি?

মালিক বা মানব সম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং তত্ত্বাবধায়ক কর্মীর কার্যসংক্রান্ত মানসিক চাপ চিহ্নিতকরণ ও কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। কর্মীর প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ তত্ত্বাবধান এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ কর্মীর মানসিক চাপ দূরীকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিক কালের এক জরিপের ফলাফল অনুযায়ী কর্মীর মানসিক চাপ দূরীকরণে নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে-

১. কর্মস্থলে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব পরিহার করতে হবে।

২. ব্যবস্থাপনা ও কর্মীর মধ্যে মুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে হবে।

৩. কর্মীর কর্মপ্রচেষ্টায় পূর্ণ সমর্থন দান ও সহযোগিতা প্রদান একান্তভাবে অপরিহার্য।

৪. ফলপ্রসূভাবে কর্মীকে কাজের উপযোগী রাখা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. কর্মীকে তার কাজে অধিক নিয়ন্ত্রণ স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে।

৬. পেশাগত পরামর্শ দানসহ কর্মীকে পরামর্শ সহযোগিতা প্রদান করা আবশ্যক।

Related Posts