Home » নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কে ছিলেন?

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কে ছিলেন?

by TRI

ফ্রান্স তথা ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সমরনেতা, রাজনীতিবিদ এবং সমাজসংস্কারক ছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । তিনি ১৭৬৯ সালে ইতালির কর্সিকা দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। অসাধারণ মেধাসম্পন্ন এবং অতুলনীয় চারিত্রিক গুণাবলির অধিকারী নেপোলিয়ন তার দক্ষতা বলে একজন সাধারণ সেনাসদস্য থেকে সেনাপতি এবং পরবর্তীকালে সম্রাট হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

নেপোলিয়ন বোনাপার্টের পরিচয়

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ছিলেন ফ্রান্সের এক মহান সম্রাট এবং দিগ্বিজয়ী বীর। তিনি ১৭৬৯ সালের ১৫ আগস্ট ইতালির কর্সিকা দ্বীপের অন্তর্গত আজাকসিও নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কার্লো বোনাপার্ট ছিলেন একজন উকিল। তার মাতার নাম ছিল লেটিজিয়া বোনাপার্ট। নেপোলিয়নের তেরো ভাই-বোনের মধ্যে আটজন জীবিত ছিলেন। জীবিত পাঁচ ভাই তিন বোনের মধ্যে নেপোলিয়ন ছিলেন দ্বিতীয়।

অভিজাত পিতা নেপোলিয়নকে ফ্রান্সের এক মিলিটারি স্কুলে ভর্তি করেন। এখান থেকে সামরিক শিক্ষা লাভ করে তিনি ফ্রান্সের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন:  টেনিস কোর্ট শপথ বলতে কি বোঝ?

১৭৯১ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট পদ লাভ করেন।

১৭৯১ সালে নেপোলিয়ন জ্যাকোবিন দলে যোগদান করেন।

১৭৯৩ সালে ইংরেজ বাহিনীর নিকট থেকে টুলোঁ বন্দর রক্ষা করে পুরস্কারস্বরূপ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদ লাভ করেন।

১৭৯৫ সালের ৫ অক্টোবর নেপোলিয়ন রাজতন্ত্রী দলের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে জাতীয় সম্মেলনকে রক্ষা করেন এবং জাতীয় সম্মেলন রক্ষার পর প্রধান সেনাপতির পদ লাভ করেন।

১৮০২ সালে লিজিয়ন অব অনার নামে এক নতুন অভিজাত শ্রেণীর সৃষ্টি করেন এবং একই বছর তিনি আজীবন কনসাল নিযুক্ত হন।

১৮০৪ সালে প্রজাতন্ত্রের মুখোশ বর্জন করে নিজেকে সম্রাট বলে ঘোষণা করেন যা ফরাসি সিনেট দ্বারা অনুমোদিত হয়।

তিনি কনসাল হিসেবে ১৭৯৯ থেকে ১৮০৪ সাল পর্যন্ত এবং সম্রাট হিসেবে ১৮০৪ থেকে ১৮১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স শাসন করেন।

দীর্ঘ ছয় বছর সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত জীবনযাপনের পর ১৮২১ সালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ফ্রান্সের রাজনীতিতে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের উত্থান ও ফ্রান্সের সম্রাটপদ লাভ সমগ্র ইউরোপের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। একজন সামান্য সৈনিক থেকে স্বীয় দক্ষতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, অসাধারণ সাহস ও সাংগঠনিক শক্তির প্রভাবেই তিনি ফ্রান্সের সম্রাট পদে উপনীত হতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে ফ্রান্স সমগ্র ইউরোপের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়।

Related Posts