Home » বিসমার্ক কে ছিলেন? তাঁর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয়

বিসমার্ক কে ছিলেন? তাঁর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয়

by TRI

বিসমার্ক এর পরিচয়

ঊনিশ শতকে ইউরোপীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে যেসব প্রতিভাবান রাজনীতিবিদের আবির্ভাব হয়েছিল তাদের মধ্যে বিসমার্ক ছিলেন শ্রেষ্ঠ স্থানের অধিকারী। তাঁর পুরো নাম অটোফন বিসমার্ক। তিনি ছিলেন একজন প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিবিদ, পার্লামেন্ট বিরোধী এবং সামরিক শক্তির প্রতি আস্থাবান। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি জনগণকে কম গুরুত্ব দিতেন। রক্ত ও লৌহনীতির মাধ্যমে অস্ট্রিয়াকে বিতাড়িত করে জার্মানির একত্রীকরণের কথা তিনি ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সংস্কার সাধন করে সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করেছিলেন। মাত্র ছয় বছরের মধ্যে ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সকে পরাজিত করে জার্মানির ঐক্য সম্পন্ন করেছিলেন।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

বিসমার্ক ১৮১৫ সালে ব্রান্ডেনবুর্গের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কার্ল উইলহেলম ফার্ডিনান্ড। মাতার নাম উইলহেলমাইন মেনকেন। প্রাথমিক জীবনের শিক্ষায় বিসমার্ক তেমন কোনো প্রতিভার পরিচয় দিতে পারেন নি। উগ্র স্বভাব ও অনিয়মানুবর্তিতার জন্য তিনি ছাত্র ও শিক্ষক মহলে বেশ পরিচিত ছিলেন। বার্লিন ও গোটিন জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা সমাপ্ত করে বিসমার্ক প্রুশিয়ার সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন:  জুলাই বিপ্লব এর কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর

ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে গমন

বিসমার্ক উন্নত শাসনব্যবস্থা সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জনের জন্য ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে বহুবার যাতায়াত করেন। এবং রাজনীতি সম্পর্কে প্রচুর অধ্যয়ন করে জ্ঞান অর্জন করেন।

রাজনীতিতে প্রবেশ

১৮৪৫ সালে বিসমার্ক পোমার নিয়ার প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। এর দুই বছর পর তিনি প্রুশিয়ার রাজকীয় সভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রবেশ করেন। ১৮৪৮ সালের বিপ্লবের সময় বিসমাক তার নিজস্ব রাজনৈতিক মতবাদ প্রকাশ করেন।

প্রুশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও জার্মানির চ্যান্সেলর

বিসমার্ক ১৮৬২ সালে এক সংকটময় মুহূর্তে প্রুশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং ১৮৭১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে প্রথম উইলিয়ামকর্তৃক ১৮৭১ সালে জার্মানির রাজকীয় চ্যান্সেলর পদে নিযুক্ত হন।

Breaking the Bismark’s Barrier: July 1942 – May 1944

বিসমার্ক Bismarck

বিসমার্কের গুণাবলি

বিসমার্ক ছিলেন কুটকৌশলী ব্যক্তিত্ব। রাজনীতির স্বার্থে তিনি মিথ্যাচার করতেও দ্বিধা করতেন না। তবে তিনি প্রচুর অধ্যয়ন করতেন। তাঁর বিরাট পাঠাগার ছিল। প্রতিটি পুস্তক তিনি যত্নসহকারে পড়তেন এবং নোট করতেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ বাগ্মী এবং উপযুক্ত বাক্য ব্যবহারে পটু।

শেষ জীবন

বিসমার্কের শেষ জীবন অতি কষ্টে কেটেছিল। ১৮৮৮ সালে কাইজার ২য় উইলিয়াম জার্মানির সম্রাট হয়ে ঘোষণা করেছিলেন, “এদেশে কেবলমাত্র একজন অধিপতি আছেন এবং আমি সে ব্যক্তি। আমি ছাড়া আর কাউকে সহ্য করা হবে না।” এ ঘোষণার পরপরই বিসমার্ক ১৮৯০ সালের ২০ শে মার্চ পদত্যাগ করেন। তাঁর এই পদত্যাগকে “Dropping of the Pilot” বলা হয়। ১৮৯৮ সালে এ মহান নেতা পরলোক গমন করেন।

Related Posts