অধিকার কত প্রকার
অধিকার কত প্রকার সে সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ঐকমত্যে উপনীত হতে পারেননি। বার্কার অধিকারকে স্বাধীনতা, সাম্য ও সহযোগিতা এ তিন ভাগে ভাগ করেছেন। আবার অধ্যাপক লাস্কি অধিকারকে সাধারণ এবং নির্দিষ্ট এই দু’ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী। আমরা সাধারণভাবে অধিকারকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা-
ক. নৈতিক অধিকার (Moral Rights)
খ. আইনগত অধিকার (Legal Rights)।
ক. নৈতিক অধিকার (Moral Rights)
সমাজের নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে নৈতিক অধিকারের জন্ম। দৃষ্টান্তস্বরূপ ভিক্ষুকের ভিক্ষাপ্রাপ্তির অধিকার, প্রতিবেশীর কাছ থেকে সহৃদয় ব্যবহারের দাবি, ছাত্রদের কাছ থেকে শিক্ষকদের শ্রদ্ধালাভের দাবি প্রভৃতি নৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। এটি কোনো প্রকার রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক আইন দ্বারা প্রবর্তিত হয় না এবং এটি অমান্যকারীকে কোনোরূপ শাস্তিও দেওয়া হয় না। তবে নৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে সামাজিক মঞ্জুরি (Social Sanction) থাকে এবং এর ভঙ্গকারীকে লোকনিন্দার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও দেখুন: অধিকার কি | অধিকার কাকে বলে | অধিকারের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য
খ. আইনগত অধিকার (Legal Rights)
রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত অধিকারকে আইনগত অধিকার বলা হয়। আইনগত অধিকারের ক্ষেত্রে থাকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব। এই অধিকার বিনষ্টকারীকে শাস্তি প্রদান করা হয়। সম্পত্তির অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাক-স্বাধীনতা প্রভৃতি আইনগত অধিকারের দৃষ্টান্ত। পৌরনীতি ও সুশাসনে আইনগত অধিকারই অধিক গুরুত্ব ও মর্যাদা লাভ করে।
আইনগত অধিকারকে আবার কয়েকভাগে ভাগ করা হয়। যেমন:
১. সামাজিক অধিকার (Social Rights)
২ . রাজনৈতিক অধিকার (Political Rights)
৩. অর্থনৈতিক অধিকার (Economic Rights)
১. সামাজিক অধিকার (Social Rights)
সামাজিক অধিকার বলতে সেসব অধিকারকে বোঝায় যেগুলো সমাজে সভ্য জীবনযাপন করতে সাহায্য করে এবং যা জীবন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য। সামাজিক অধিকারগুলো নিম্নরূপ-
ক. জীবনধারণের অধিকার: সবার জীবন রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থার নামই জীবনধারণের অধিকার। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের সুবন্দোবস্ত করা এবং কেউ যাতে কারো প্রাণহানি করতে না পারে তার জন্য আইনগত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সামাজিক অনুকূল পরিবেশে বসবাসের মাধ্যমে জীবনকে উন্নত করার মধ্যে জীবনধারণের অধিকার নিহিত। প্রতিটি সভ্য রাষ্ট্র এ অধিকার সংরক্ষণ করে।
খ. চলাফেরার অধিকার: রাষ্ট্রের অখণ্ডতা বিপন্ন না করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগকে চলাফেরার অধিকার বলে। একমাত্র রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে সরকার এ অধিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
গ. সম্পত্তি ভোগের অধিকার: রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির সীমানার মধ্যে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি ভোগের অধিকার আছে। কেউ যাতে জোর করে অন্যের সম্পত্তি দখল করতে না পারে তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থার নামই সম্পত্তি ভোগের অধিকার।
ঘ. চুক্তি করার অধিকার: সমাজে বসবাসরত মানুষ ন্যায়সঙ্গতভাবে একে অপরের সাথে চুক্তি সম্পাদন করতে পারে। বিষয়-সম্পত্তি ও লেনদেন সংক্রান্ত চুক্তি করা নাগরিকের সামাজিক অধিকার। চুক্তির শর্ত সংরক্ষণ করার ব্যাপারে রাষ্ট্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও দেখুন: ই গভর্নেন্স ও সুশাসন – পরস্পর কতটা সম্পর্কযুক্ত?
ঙ. মতামত প্রকাশের অধিকার: রাষ্ট্রের অখণ্ডতা ও সংহতির বিরুদ্ধে হুমকি সৃষ্টি না করে যেকোনো ব্যক্তির যেকোনো মাধ্যমে মতামত প্রকাশ ও প্রচার করতে পারাকে মতামত প্রকাশের অধিকার বলা হয়। মতামত প্রকাশের মাধ্যমে নাগরিকরা রাষ্ট্রের কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। এই অধিকার সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
চ. সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অধিকার: স্বাধীন ও নির্ভীকভাবে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ খবরাখবর প্রকাশ করার অধিকারকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলে। সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে জনমত গঠনের ব্যাপারে সংবাদপত্রের ভূমিকা অপরিসীম। সুতরাং, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করা সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব।
ছ. সভা-সমিতির অধিকার: সভা-সমিতির মাধ্যমে নাগরিকবৃন্দ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের জন্য সভা-সমিতি করার অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত। দেখতে হবে যেন এরূপ সভা-সমিতি দ্বারা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সংহতি এবং জনগনের জীবনযাত্রা বিপন্ন না হয়।
জ. ধর্মীয় অধিকার: নিজ নিজ ধর্মচর্চা ও প্রচার করার স্বাধীনতার নামই ধর্মীয় অধিকার। যে কেউ তার নিজের ধর্ম পালন ও প্রচার করতে পারে। তবে অন্যের ধর্ম পালনে ও প্রচারে বাধা দিতে পারবে না। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ঝ. আইনের চোখে সমান অধিকার: আইন সবার জন্য সমান ও সমভাবে প্রযোজ্য হবে। ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য একই প্রকার আইন ও বিচার ব্যবস্থার নামই আইনের চোখে সমান অধিকার।
ঞ. পরিবার গঠনের অধিকার: পরিবার গঠন করার অধিকার সব দেশেই একটি স্বীকৃত সামাজিক অধিকার। এ অধিকারের ফলে বিবাহ, সন্তানাদির জন্মদান ও লালন পালন এবং পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার ভোগ করা যায়।
ট. ভাষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার: নিজ নিজ দেশের ভাষা, সাহিত্য, আচার-অনুষ্ঠান, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-চর্চা সংরক্ষণ করার অধিকারকে সাংস্কৃতিক অধিকার বলে। এ অধিকার বলে একটি জাতি তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনার দ্বারা নিজেকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করে। এর ফলে জাতিতে জাতিতে আলাদা সত্তা জাগ্রত হয়। নাগরিকের ব্যক্তিসত্তা ও । জাতীয় সত্তাকে তুলে ধরতে হলে প্রত্যেক নাগরিকের সংস্কৃতি চর্চার অধিকার থাকা উচিত
ঠ. খ্যাতি লাভের অধিকার: প্রত্যেক নাগরিক তার কর্মপ্রচেষ্টা ও দক্ষতার দ্বারা খ্যাতি লাভের অধিকারী। কেউ যাতে কারও খ্যাতি অর্জনের পথে বাধা দিতে না পারে এবং মানহানিকর কিছু করতে না পারে সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে রাষ্ট্র মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
আপনারা পড়ছেন অধিকার কত প্রকার ও কি কি। আশা করি সব প্রশ্নের উত্ত দিতে পেরেছি এই লেখাটির মাধ্যমে।
২. রাজনৈতিক অধিকার (Political Rights)
রাজনৈতিক অধিকার হলো সেসব অধিকার যেগুলোর মাধ্যমে সুনাগরিকরা রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে। ভোট প্রদানের অধিকার, নির্বাচিত হওয়ার অধিকার, আইনসভার সদস্য হওয়ার অধিকার প্রভৃতি রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার পরস্পর পৃথক নয়; এরা পরস্পর নির্ভরশীল এবং একে অপরের পরিপূরক। অনেক সময় একটি অপরটিকে সংরক্ষণ করে। তবে সামাজিক অধিকার ছাড়া রাজনৈতিক অধিকার অর্থহীন হয়ে পড়ে। নিম্নে রাজনৈতিক অধিকারগুলো আলোচনা করা হলো-
ক. স্থায়ীভাবে বসবাস করার অধিকার: রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সংহতি বিপন্ন না করে যেকোনো নাগরিক রাষ্ট্রের যেকোনো অংশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে। বসবাসের অধিকার নাগরিকের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার।
খ. নির্বাচনের অধিকার: ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব নাগরিকের ভোট দেওয়ার ও ভোট নেওয়ার তথা প্রতিনিধি নির্বাচন করার এবং প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিকারকে নির্বাচনের অধিকার বলে। সর্বজনীন ভোটাধিকার ব্যবস্থা সংরক্ষণের মাধ্যমে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের নির্বাচনের অধিকার ভোগের সুযোগ দান করে।
গ. সরকারি চাকরি লাভের অধিকার: জীবনধারণের জন্য নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি অফিস-আদালতে চাকরি লাভের অধিকার একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক অধিকার।
ঘ. আবেদন করার অধিকার: এই অধিকারের ফলে যেকোনো নাগরিক তার মতামত লিখিত আকারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে পারে। বিপদ-আপদ ও অভাব-অভিযোগ থেকে বাঁচার জন্য যে কেউ সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করতে পারে।
ঙ. বিদেশে অবস্থানকালে নিরাপত্তা লাভের অধিকার: এই অধিকার থাকলে একজন নাগরিক বিদেশে অবস্থানকালে বিপদে পড়লে নিজ রাষ্ট্রের সাহায্য কামনা করতে পারে। বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
চ. সরকারের সমালোচনা করার অধিকার: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকবৃন্দ সরকারের কাজের সমালোচনা করতে পারে। এটি একটি স্বীকৃত অধিকার। সরকার যদি নাগরিক স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করে তখন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার সব নাগরিকের রয়েছে।
আরও দেখুন: ই গভর্নেন্স এর সুবিধা গুলো কি কি?
৩. অর্থনৈতিক অধিকার (Economic Rights)
অর্থনৈতিক অধিকার হলো সেইসব অধিকার যেগুলো অভাব-অনটন ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিয়ে মানুষের জীবনকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও নিরাপদ করে তোলে। অধ্যাপক লাস্কির ভাষায় ‘দৈনন্দিন অন্নসংস্থানের ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত উপায় খুঁজে পাওয়ার সুযোগ ও নিরাপত্তাকেই অর্থনৈতিক অধিকার বলে।’ অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বৃদ্ধি পেতে থাকে। নাগরিকের যেসব অর্থনৈতিক অধিকার রয়েছে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
ক. কর্মের অধিকার: অর্থনৈতিক অধিকারের মধ্যে কর্মের অধিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কর্মের অধিকার বলতে বোঝায় ব্যক্তি তার যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুসারে কর্মে নিযুক্ত হতে পারবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো প্রত্যেক নাগরিকের সামর্থ্য ও যোগ্যতানুযায়ী তাকে কর্মে নিয়োগ করা।
খ. উপযুক্ত পারিশ্রমিকের অধিকার: শুধুমাত্র কর্মের অধিকার দ্বারাই নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ সুগম হয় না; উপযুক্ত কাজের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া না হলে কর্মের অধিকার মূল্যহীন হয়ে পড়ে।
গ. অবকাশ লাভের অধিকার: গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘সুন্দর জীবনের জন্য অবকাশ অপরিহার্য।’ সুখ- স্বাচ্ছন্দ্য ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য নাগরিকের অবকাশ লাভের অধিকার একান্ত প্রয়োজন। মানুষের রয়েছে উদ্ভাবনী শক্তি। আর এ উদ্ভাবনী শক্তির পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজন অবকাশের। তাছাড়া অবকাশের সুযোগ না থাকলে মানুষ যন্ত্রতুল্য হয়ে পড়ে।
ঘ. প্রতিপালিত হওয়ার অধিকার: মানুষ বার্ধক্যে উপনীত হলে স্বাভাবিকভাবেই কর্মসম্পাদনে অসমর্থ হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো এই ধরনের নাগরিকের ভরণ-পোষণের সব ব্যয়ভার বহন করা। কর্মক্ষম অবস্থায় নাগরিক তার সামর্থ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে। কিন্তু বৃদ্ধ হয়ে পড়লে তার ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা যদি রাষ্ট্র না করে তবে অন্যায় করা হবে।
ঙ. শ্রমিকসংঘ গঠনের অধিকার: শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য কলকারখানায় শ্রমিকসংঘ গঠনের অধিকার একটি স্বীকৃত অধিকার। এ অধিকার বলে শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয় এবং শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
চ. সামাজিক নিরাপত্তা লাভের অধিকার: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা লাভের অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনার স্বীকার হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ পেনশন পাবার অধিকার শ্রমিকের রয়েছে।
অতএব বলা যায়, রাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো নাগরিকদের অধিকার উপভোগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। কারণ অধিকার উপভোগের মাধ্যমেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশ সম্ভব হয়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা অধিকার কত প্রকার সে সম্পর্কে জানতে পারলেন। এর সাথে আইনগত অধিকার কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কেও ধারণা পেলেন।