Home » জেনে নিন শেয়ার কি? শেয়ার কত প্রকার ও কি কি?

জেনে নিন শেয়ার কি? শেয়ার কত প্রকার ও কি কি?

by TRI

শেয়ার সম্পর্কে ধারণা

কোম্পানির শেয়ার মূলধনের ক্ষুদ্র ও সমান একককে শেয়ার বলে। নিয়মানুযায়ী কোম্পানি সংগঠনের মোট মূলধনকে নির্দিষ্ট সমমূল্যের ক্ষুদ্র সমান এককে ভাগ করা হয়। এরূপ প্রতিটা একক শেয়ার মূলধনের অংশ হওয়ার কারণে এটা ক্রয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির আংশিক মালিকানা লাভ করেন। যিনি শেয়ার ক্রয় করেন তাকে শেয়ারহোল্ডার এবং শেয়ার বিক্রয় হতে সংগৃহীত অর্থকে শেয়ার মূলধন বলে।

শেয়ার ক্রয়ের বিনিময়ে শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানি মুনাফা করলে মুনাফার অংশবিশেষ লভ্যাংশ আকারে পেয়ে থাকেন। অবশ্য ক্ষতি হলে সেক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারগণকে একমালিকানা বা অংশীদারি ব্যবসায়ের মালিকগণের মতো অসীম দায় বহন করতে হয় না। শেয়ার মূল্য দ্বারা দায় সীমাবদ্ধ কোম্পানিতে শেয়ার মূল্য পর্যন্ত দায় বহনে শেয়ারমালিকগণ বাধ্য থাকেন। শেয়ার মূল্য কম হওয়ায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও কোনো কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে কোম্পানিতে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন:   পাবলিক ও প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য কী?

শেয়ারের প্রকারভেদ

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির বিনিয়োগকারীর পছন্দ ও সুবিধা, কোম্পানির স্বার্থ ও মূলধন বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার কোম্পানি কর্তৃক বর্তমানকালে ইস্যু করতে দেখা যায়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

১. সাধারণ শেয়ার

আইনানুযায়ী যে শেয়ারের মালিকগণ অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিভিন্ন দিক বিচারে অধিক সুবিধা ও মর্যাদাভোগ করলেও লভ্যাশ বণ্টনে ও কোম্পানি বিলোপের সময় মূলধন প্রত্যাবর্তনে অগ্রাধিকার পায় না তাকেই সাধারণ শেয়ার বলে।

এরূপ শেয়ারের মালিকগণ পরিচালক নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে, নির্বাচনে ভোট দিতে পারে ও শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে মতামত প্রদান করতে পারে।

২. অগ্রাধিকার শেয়ার

যে শেয়ারের মালিকগণ লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে ও মূলধন প্রত্যাবর্তনে অন্যান্য শেয়ার মালিকগণের চেয়ে অগ্রাধিকার পায় তাকেই অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ার বলে। কোম্পানিতে মুনাফা হলে এরূপ শেয়ার মালিকগণ অবশ্যই নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। তবে এরা পরিচালক হতে বা পরিচালক নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না এবং নিজস্ব স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দেয়ার সুযোগ পায় না।

৩. বিলম্বিত বা প্রবর্তকদের শেয়ার

যে শেয়ারের মালিকগণ লভ্যাংশ বণ্টন ‍ও মূলধন প্রত্যাবর্তনে সকলের শেষে অংশগ্রহণ করে তাকে বিলম্বিত শেয়ার বলে। কোম্পানি গঠনের ব্যয় বহন বা অন্য কোনো প্রাথমিক ব্যয় নির্বাহের জন্য অথবা পরিশ্রমের প্রতিদান হিসেবে প্রবর্তকদের নগদ অর্থ বা অন্য কোনো শেয়ার না দিয়ে অনেক সময় এ ধরনের শেয়ার দেয়া হয় বিধায় একে প্রবর্তকদের শেয়ারও বলা হয়ে থাকে। এরূপ শেয়ার সাধারণ্যে বিক্রয়ের প্রশ্ন আসে না। ফলে তা হস্তান্তরযোগ্য নয়।

৪. অন্যান্য শেয়ার

শেয়ার বলতে সাধারণভাবে উপরে বর্ণিত তিন ধরনের শেয়ারকে বুঝায়। তবে কোম্পানিতে এর বাইরেও বিভিন্ন নামে শেয়ার বণ্টিত হতে দেখা যায়। বোনাস শেয়ার, অধিকারযোগ্য শেয়ার, অনাঙ্কিক মূল্যের শেয়ার ইত্যাদি এ ধরনের শেয়ার।

Related Posts