চলতি মূলধন
ফার্মের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য যে মূলধন প্রয়োজন হয়, তাকে চলতি মূলধন বলে। এ মূলধন উৎপাদনকাজে কেবল একবারই ব্যবহার করা যায় এবং এতে এর রূপগত পরিবর্তন ঘটে। এ মূলধন উৎপাদনক্রিয়ার মধ্যে বৃত্তের মতো আবর্তিত হয় বলে একে আবর্তিত মূলধনও বলে।
ফার্মের চলতি মূলধন হলো হাতে নগদ, চাহিদা আমানত, বাজারে বিপণনযোগ্য সিকিউরিটিজ, পণ্য তালিকা, প্রাপ্য বিল ইত্যাদি। স্থায়ী মূলধন তৈরি, ক্রয় বা ভাড়া করা, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ, দৈনন্দিন কাঁচামাল সংগ্রহ, বেতন, মজুরি ইত্যাদি দৈনন্দিন খরচের জন্য চলতি মূলধন প্রয়োজন। উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রয় করে অতি দ্রুত এ মূলধন ফেরত পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মূলধন কাকে বলে? মূলধনের প্রকারভেদ আলোচনা কর
চলতি মূলধনের উৎস
চলতি মূলধনের উৎস দুটি; যথা- দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি।
দীর্ঘমেয়াদি উৎস
ঋণপত্র: ফার্ম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট সুদের হারে ব্যাংক বা জনগণে রনিকট থেকে ঋণপত্রের মাধ্যমে চলতি মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
শেয়ার সার্টিফিকেট: ফার্ম শেয়ার সার্টিফিকেট বিক্রি করে ক্রেতাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তর করতে পারে। এর বিনিময়ে ফার্ম সার্কুলেশন ক্যাপিটাল সংগ্রহ করতে পারে।
সংরক্ষিত আয়: ফার্মের আয়ের একটি অংশ অবণ্টিত রেখে সংরক্ষিত আয় হিসেবে রাখা যায়। সংরক্ষিত আয় চলতি বা সার্কুলেশন ক্যাপিটাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
স্বল্পমেয়াদি উৎস
ব্যাংকঋণ, বিনিময় বিলের বাট্টাকরণ ও শেয়ার মূলধনের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদে চলতি মূলধন সংগ্রহ করা যায়।
ব্যাংকঋণ: স্বল্পমেয়াদে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে চলতি মূলধন সংগ্রহ করা যায়।
বিনিময় বিলের বাট্টাকরণ: যে বিনিময় বিলের অর্থ পরে পাওয়া যাবে, বাট্টাকরণের মাধ্যমে তা আগে সংগ্রহ করলে তা হতে পারে চলতি মূলধনের একটি উৎস।