শুমারি জরিপ ও নমুনা জরিপ এর মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আজকের আর্টিকেল। শুমারি জরিপ ও নমুনা জরিপ সামাজিক গবেষণায় বহুল ব্যবহৃত দু’টি শব্দ। যাদের এ দু’টি জরিপের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানা নেই তাদের জন্যই এই আর্টিকেলটি। আশা করি, এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে জেনে নিই জরিপ দু’টির মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে-
কোন অর্থনৈতিক বা সামাজিক কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু জানার জন্য যে অনুসন্ধান করা হয় তাকে জরিপ বলা হয়। জরিপ কার্যের প্রকৃতি বিবেচনা করে একে দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ক) শুমারি জরিপ ও
খ) নমুনা জরিপ
শুমারি জরিপ এবং নমুনা জরিপ যদিও একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তথাপি এদের মধ্যে প্রকৃতিগত ও বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। নিম্নে এগুলো আলোচনা করা হলো-
১) কোন বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য বিষয় সংক্রান্ত প্রতিটি উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। অর্থাৎ যে পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি গ্রহণ করে সমগ্রকের প্রতিটি অংশ এবং তার প্রকৃতি সম্পর্কে প্রকৃত উপাত্ত পাওয়া যায় তাই শুমারি জরিপ বা আদমশুমারি।
অন্যদিকে পদ্ধতিগতভাবে জরিপের উদ্দেশ্য সামনে রেখে স্বল্প ব্যয় ও স্বল্প সময়ে অধিকতর দক্ষতার সাথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপাত্ত সংগ্রহ করার কৌশলকে নমুনা জরিপ বলা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক তথ্য কি? সামাজিক গবেষণায় প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি আলোচনা কর
শুমারি জরিপ সমগ্র বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে, কিন্তু নমুনা জরিপ সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বশীল একটি ছোট অংশ নিয়ে আলোচনা করে মাত্র। এতে সমগ্রকের প্রায় সকল বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। শুমারি জরিপ মূল পদ্ধতি আর নমুনা জরিপ শুমারি জরিপের বিকল্প পদ্ধতি।
২) শুমারি জরিপ ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। পক্ষান্তরে, নুমনা জরিপ স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করা যায়। এটি শুমারি জরিপের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ক্ষুদ্র অংশ এবং প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ হতে অধিকতর গ্রহণযোগ্য।
৩) প্রতি দশ বছর পরপর শুমারি জরিপ করা হয়। দু’টি শুমারি জরিপের অন্তর্বর্তী যেকোনো সময় নমুনা জরিপ করা যায়। নমুনা জরিপ শুমারি জরিপের একটি ক্ষুদ্র অংশ পর্যালোচনা করলেও এতে শুমারি জরিপের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য স্থান পায়। সুতরাং, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যেকোনো গবেষণার জন্য উপাত্ত সংগ্রহের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি হিসেবে নমুনা জরিপ একটি উৎকৃষ্ট পন্থা।