সম্ভাবনা নমুনায়ন
যে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য পরিমাপের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে তা যদি সমগ্রকের সকল এককের মধ্যে প্রায় সমানভাবে পাওয়া যায় তবে ঐ সমগ্রক থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় সম্ভাবনা তথ্যের উপর নির্ভর করতে হয়। সম্ভাবনা নমুনায়নে সমগ্রকের অন্তর্ভূক্ত প্রতিটি এককেরই নমুনায় অন্তর্ভূক্ত হবার সমান সম্ভাবনা থাকে। এখানে পরিসংখ্যান পদ্ধতির দ্বারা সমগ্রকের প্রতিটি এককের নমুনায় অন্তর্ভূক্ত হবার সমান সম্ভাবনাকে সুনির্দিষ্ট বলা যায়। সম্ভাবনা নির্ভর নমুনায়নের মূলকথা হচ্ছে দৈবচয়ন।
যে নমুনায়ন পদ্ধতিতে সমগ্রকের প্রতিটি এককের নমুনায় নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা থাকে তাকে দৈবচয়িত নমুনায়ন বলে। নমুনা নির্বাচনে পক্ষপাত দূর করার জন্য দৈবচয়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন এককের মধ্যে বৈষম্য করার সুযোগ থাকে না। এ কারণেই এটি অধিক বিজ্ঞানভিত্তিক। সম্ভাবনা তত্ত্বের ভিত্তিতে নমুনা নির্বাচন করা হয় বিধায় দৈবচয়িত নমুনায় বিচ্যুতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। অপেক্ষাকৃত বড় আকারের দৈবচয়িত নমুনা একই আকারের অদৈবচয়িত নমুনার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিনিধিত্বশীল হয়।
আরও পড়ুন: প্রশ্নমালা কি? প্রশ্নমালার প্রকারভেদ আলোচনা কর।
সম্ভাবনা নির্ভর নমুনাই হচ্ছে একমাত্র পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বশীল নমুনায়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হয়। এ পদ্ধতির প্রয়োগের ফলে গবেষক নমুনায়নের ভুল-ত্রুটি বা বিচ্যুুত নির্ধারণ করতে পারেন। সম্ভাবনা নির্ভর নমুনায়নের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি হচ্ছে-
ক) নমুনা নির্বাচনের জন্য সমগ্রকের আকার নির্ধারণ করা।
খ) সমগ্রকের প্রতিটি এককের নমুনায় অন্তর্ভূক্ত হবার সম্ভাবনা নিশ্চিত করা।
সম্ভাবনা নমুনায়নের প্রকারভেদ
সম্ভাবনা নমুনায়নকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ক) সরল দৈবচয়িত নমুনায়ন (Simple Random Sampling),
খ) নিয়মতান্ত্রিক দৈবচয়িত নমুনায়ন (Systematic Random Sampling),
গ) স্তরিত নমুনায়ন (Stratified Sampling),
ঘ) গুচ্ছ নমুনায়ন (Cluster Sampling),
ঙ) বহু পর্যায় নমুনায়ন (Multistage Sampling)।