Home » আকবরনামা গ্রন্থের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে লিখ

আকবরনামা গ্রন্থের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে লিখ

by TRI

“আকবরনামা” একটি কালজয়ী ইতিহাসগ্রন্থ। মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের (১৫৫৮-১৬০৫) ৪৭ তম বছর পর্যন্ত সময়ের একটি বিস্তৃত ও ধারাবাহিক বিবরণ সংবলিত বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।

আকবরনামা গ্রন্থের লেখক বা রচয়িতা সম্রাট আকবরের অন্তরঙ্গ বন্ধু ও সভাসদ শেখ আবুল ফজল।

আকবরনামার বিষয়বস্তু

প্রধান তিনটি খণ্ডে বিভক্ত আকবরনামার বিষয়বস্তু ছিল বর্ণনামূলক ও তথ্যমূলক। প্রথম দুই খণ্ড ছিল বর্ণনামূলক এবং তৃতীয় ও শেষ খণ্ড ছিল তথ্যমূলক যা ‘আইন-ই-আকবরী’ নামে সর্বাধিক পরিচিত। আকবরনামার খণ্ডভিত্তিক বিষয়বস্তু ছিল নিম্নরূপ-

প্রথম খণ্ডের বিষয়বস্তু

আবুল ফজল ‘আকবরনামা’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে আদম সৃষ্টি থেকে শুরু করে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের ১৭ তম বছর পর্যন্ত সময়ের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। তবে সম্রাট আকবরের পূর্ববর্তী সময়ের বর্ণনা খুবই সীমিত। মূলত আকবরের জন্ম থেকে শুরু করে তার রাজত্বের প্রথম ১৭ বছরের ইতিহাস এখানে বর্ণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন:  খারাজ কি? সুলতানি আমলে খারাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর

দ্বিতীয় খণ্ডের বিষয়বস্তু

আবুল ফজল তার গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে সম্রাট আকবরের রাজত্বের ১৮ তম বছর থেকে শুরু করে ৪৭ তম বছরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত ৩০ বছরের উত্তর ও দক্ষিণ-ভারতের বিজয়সমূহ, তার রাজস্ব ব্যবস্থা, ধর্মীয় নীতি, সামাজিক ও প্রশাসনিক সংস্কারাবলিসহ মুঘল আমলের সমাজ-সংস্কৃতির সুন্দর ও মনোরম চিত্র লেখনীর মাধ্যমে চিত্রায়িত করেছেন।

মধ্যযুগের বাংলা (বখতিয়ার খলজি থেকে সিরাজ-উদ-দৌলা) - খন্দকার স্বনন  শাহরিয়ার | Modhyojuger Bangla Bakhtiyar Khalji Theke Siraj Ud Daulah

TK. 350 TK. 301 You Save TK. 49 (14%)

তৃতীয় খণ্ডের বিষয়বস্তু

আকবরনামা গ্রন্থের তৃতীয় ও শেষ খণ্ডটি ছিল তথ্যমূলক যা আইন-ই-আকবরী নামে পরিচিত। এখানে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের সূচনা থেকে শুরু করে ৪২ তম বছর পর্যন্ত সময়ের প্রশাসনিক কাঠামো, আইন-কানুন এবং রাজস্ব ও অর্থ সংক্রান্ত বহু তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই তথ্যসমৃদ্ধতার জন্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থকে আধুনিককালের গেজেটিয়ার বা তথ্যবিবরণী বলা হয়।

পরিশেষে বলা যা যে, আবুল ফজলের আকবরনামা ছিল একটি অনুপম ও কালজয়ী ইতিহাস গ্রন্থ। বিষয়বস্তুর সুবিন্যস্ত বিশ্লেষণ, ইতিহাসের ধারাবাহিকতা সংরক্ষণ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যের সমৃদ্ধতা প্রভৃতি এই গ্রন্থকে একটি বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস গ্রন্থে রূপ দান করেছে।

Related Posts