Home » বিশ্ব ব্যবস্থা তত্ত্ব – World System Theory
বিশ্ব ব্যবস্থা তত্ত্ব

বিশ্ব ব্যবস্থা তত্ত্ব – World System Theory

by TRI

 

বিশ্ব ব্যবস্থা তত্ত্ব

বিশ্ব ব্যবস্থা তত্ত্ব (world system theory)

প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী Immanuel Wallerstein ১৯৭৪ সালে বিশ্ব ব্যবস্থা তত্ত্ব বা World System Theory প্রদান করেন। বিশ্ব ইতিহাস ও সমাজ পরিবর্তনে এ তত্ত্বটির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কিছু দেশ সুবিধা নিচ্ছে অন্য দেশকে শোষেণের মাধ্যমে। এ তত্ত্বটি সমগ্র বিশ্বের সামগ্রিক অর্থব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করে। 

বিশ্ব ব্যবস্থা তত্ত্ব সমগ্র দেশগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। সেগুলো হল-

১) কোর (core) দেশসমূহ

২) পেরিফেরি (periphery) দেশসমূহ ও

৩) সেমি-পেরিফেরি (semi-periphery) দেশসমূহ

আরও পড়ুন:  নির্ভরতা তত্ত্ব – Dependency Theory

কোর দেশসমূহ

কোর দেশসমূহ হচ্ছে পুঁজিবাদী দেশগুলো যেগুলো পেরিফেরি দেশসমূহকে শোষণ করে। তারা পেরিফেরি দেশগুলো হতে সস্তা দামে শ্রম ও কাঁচামাল সংগ্রহ করে। তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে এবং এরা কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের উপর নির্ভরশীল নয়। পাশাপাশি এরা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই তারা তাদের প্রভাব খাটিয়ে অনুন্নত দেশসমূহ হতে নামমাত্র মূল্যে শ্রম ও কাঁচামাল আমদানি করে। ফলে উভর দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা প্রকট আকার ধারণ করে। এই কোর দেশসমূহ মূলত উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত। যেমন- ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড ইত্যাদি। যুক্তরাষ্ট্র কোর দেশসমূহের নেতৃত্বে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল মূলধন এবং দক্ষ শ্রমশক্তি রয়েছে যারা সম্মানজনক সুযোগ-সুবিধাদি ভোগ করেন।

পেরিফেরি দেশসমূহ

অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশসমূহকে পেরিফেরি দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এসব দেশের কেন্দ্রীয় সরকার সমূহ যথেষ্ট শক্তিশালী নয় এবং দেশগুলো অন্য দেশ কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এসব দেশগুলো কাঁচামাল, শ্রম কোর দেশসমূহের নিকট রপ্তানি করে। পেরিফেরি দেশসমূহ কোর দেশসমূহের মূলধনের উপর নির্ভরশীল। এসব দেশসমূহে শ্রম-নিবিড় উৎপাদন ব্যবস্থা বিদ্যমান।

পেরিফেরি দেশসমূহকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলা হয়ে থাকে। আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশ এ তালিকায় আছে।

সেমি-পেরিফেরি দেশসমূহ

মধ্য আয়ের দেশসমূহকে সেমি-পেরিফেরি দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এসব দেশসমূহে পেরিফেরি ও কোর দেশসমূহের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এবং এসব দেশসমূহ পেরিফেরি অবস্থা হতে উত্তরণ করছে। এরাও কোর দেশসমূহের শোষণের শিকার। তবে পেরিফেরি দেশসমূহের তুলনায় কম।

 

Related Posts