Home » মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি আলোচনা কর

মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি আলোচনা কর

by TRI

কোন প্রতিষ্ঠান যখন তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করে তখন তাকে প্রাথমিক বা মৌলিক বা Primary data বলে। আবার এই সংগৃহীত তথ্য যখন অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করে তখন তাকে মাধ্যমিক তথ্য বা Secondary data বলে। মাধ্যমিক উপাত্ত ব্যবহার করার সময় তার সঠিকতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হয়। মাধ্যমিক উপাত্ত বা Secondary data সংগ্রহ করার কোন পদ্ধতি নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়।

নিচে মাধ্যমিক তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করার উৎসসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হল। 

ক) প্রকাশিত উৎস

সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এন.জি.ও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে প্রতিদিনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তথ্য সংগ্রহ করে। এ সকল তথ্য সাজিয়ে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে। প্রকাশিত তথ্যের প্রধান উৎসগুলো নিম্নরূপ-

১। সরকারি সংস্থাসমূহ: যেমন- পরিসংখ্যান ব্যুরো, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, আবহাওয়া বিভাগ, কৃষি বাজারজাতকরণ বিভাগ, মৎস্য সম্পদ জরিপ প্রকল্প ও পরিকল্পনা কমিশন ইত্যাদি থেকে মাধ্যমিক উপাত্ত পাওয়া যায়।

২। স্থানীয় সরকারসমূহ: যেমন- পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ দ্বারা প্রকাশিত রিপার্ট থেকে মাধ্যমিক উপাত্ত পাওয়া যায়।

৩। আধাসরকারি সংস্থাসমূহ: যেমন- BADC, BCIC, BRTC ইত্যাদি সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত সাময়িকীসমূহ থেকে মাধ্যমিক উপাত্ত পাওয়া যায়।

৪। বিভিন্ন কমিশন রিপোর্ট: যেমন- শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট, পাবলিক সার্ভিস কমিশন রিপোর্ট ইত্যাদি মাধ্যমিক তথ্যের উৎস।

আরও পড়ুন:  প্রাথমিক তথ্য কি? সামাজিক গবেষণায় প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি আলোচনা কর

৫। বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ: যেমন- BARI, BIRI, ICDDRB ইত্যাদি সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত সাময়িকীসমূহ মাধ্যমিক তথ্যের উৎস।

৬। আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ: যেমন- FAO, UNESCO, UNDP ইত্যাদি সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত সাময়িকীসমূহ থেকে মাধ্যমিক উপাত্ত পাওয়া যায়।

৭। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান: বৃহৎ আয়তন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শেয়ার বাজার প্রভৃতি কর্তৃক প্রকাশিত সাময়িকীসমূহে ও ইস্তেহার থেকে মাধ্যমিক উপাত্ত পাওয়া যায়।

খ) অপ্রকাশিত উৎস

যে সকল তথ্য বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ কর নিজেদের কাজে ব্যবহার করে এবং প্রয়োজন শেষে রেকর্ড সংরক্ষণ করে কিন্তু পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে না, সে সকল তথ্যকে মাধ্যমিক তথ্যের অপ্রকাশিত উৎস বলে। এ ছাড়াও অফিস আদালতের দলিল-দস্তাবেজ মাধ্যমিক তথ্যের উৎস।

Related Posts